অনলাইন ডেস্কঃ
ভারতের চন্ডিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্বোধনের পর বাংলাদেশ হাই কমিশনের সহযোগিতায় ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের খ্যাতনামা লাভলী প্রফেসনাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্বোধন হলো আজ।
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মোহাম্মদ ইমরান হাজার হাজার ছাত্র ছাত্রীর উপস্থিতিতে বিকেলে বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্বোধন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ভবনে নির্মিত বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও পাঞ্জাব রাজ্য সভার সংসদ সদস্য অশোক মিত্তাল, প্রো ভাইস প্রেসিডেন্ট আমান মিত্তাল, হাই কমিশনারের সহধর্মিণী ডা. জাকিয়া হাসনাত ইমরান, দূতাবাসের উপ হাই কমিশনার নুরল ইসলামসহ দূতাবাসের সিনিয়র কর্মকর্তাগণ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান আর বিপুল করতালির মধ্য দিয়ে হাই কমিশনারকে ক্যাম্পাসে স্বাগত জানায়।
পরে ক্যাম্পাস মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন হাই কমিশনার মোহাম্মদ ইমরান। বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর অশোক মিত্তাল ও প্রো ভাইস প্রেসিডেন্ট আমান মিত্তাল বক্তব্য দেন।
প্রায় ৪৫ হাজার শিক্ষার্থীর ঐতিহ্যবাহী এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে হাই কমিশনারসহ দূতাবাসের সকল কর্মকর্তাদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাই কমিশনার মোহাম্মদ ইমরান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধুর জীবন আদর্শ ও বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক অবদানের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে সার্চ লাইট অপারেশনের নামে বাংলাদেশে গণহত্যা শুরু করে। আমাদের স্বাধীনতার মহানায়ক এবং বিশ্ব নন্দিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ মার্চ স্বাধীনতার চূড়ান্ত ঘোষণা দেন এবং তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে।
হাই কমিশনার বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রামে ভারতের তৎকালীন সরকার ও ভারতের মানুষের ভূমিকা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে বলেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার সরকার কাজ করছেন।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার নির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং বাঙালি জাতির সমৃদ্ধির নেপথ্য ইতিহাস জানতে বঙ্গন্ধু কর্নার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ছাত্রীদের জন্য বিশেষভাবে সহায়ক হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর অশোক মিত্তাল বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর নামে কর্নার স্থাপন করতে পেরে আমরা গর্বিত। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কেবল বাংলাদেশ নয় ভারতীয় মানুষের কাছেও এক ভালোবাসার নাম। আমরা আশা করি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বঙ্গবন্ধু কর্নারের সংগৃহীত ইতিহাস পড়ে মহান এই নেতা সম্পর্কে জানতে পারবে।
উদ্বোধনী এ অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ হাই কমিশনের মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।