চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড মডেল থানা দেশের একটা গুরুত্বপূর্ণ থানা। চট্টগ্রাম পোর্ট ও বেশীরভাগ শিল্পপ্রতিষ্টান থাকায় অপরাধ প্রবনতা ও বেশী। সীতাকুণ্ড তথা চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতি চাঁদাবাজির নিউজ করায় সাংবাদিক নুরুল কবির দুলালের বিরুদ্ধে একটি চক্র ক্ষেপে গিয়ে প্রাণনাশের হুমকী প্রদান করে। যার ফলে সাংবাদিক নুরুল কবির দুলাল নিজে গত ৯ মার্চ১৯ ইং জিডি করেন। জিডি করার ৬ দিনের মাথায় ডাকাত দ্বারা উল্টো মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা যায়৷
জিডি করার ১ঘন্টার মধ্যে জনি ডাকাত ফোন করে জিডি তুলতে বলে,না হয় জানে মেরে ফেলার হুমকী দেয়। যা অডিও রেকর্ড আইও এস আই হারুন ও ওসি মো,দেলোয়ার হোসেনকে শুনানো হয়। গত ৩০ শে জানুয়ারী ১৯ ইং সীতাকুণ্ড উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল হোসেন,, তার ভাগিনা সায়েম ও হৃদয়ের সাথে মারামারির ঘটনা ঘটে। জনি ডাকাতের অভিযোগের ভিত্তিতে ২৮শে ফেব্রুয়ারী সীতাকুণ্ড মডেল থানায় উভয় পক্ষের মধ্যে আপোষনামা হয়৷ঘটনার সূত্রপাতে জানা যায় কেদারখিল এলাকার সীতাকুণ্ড গার্লস কলেজের ছাত্রী অর্পী সীতাকুণ্ড হতে নুনাছড়া আসার পথে ইভটিজিং করে জনি ডাকাত। অর্পী রবির আপন ভাগনি। রবি ও আত্মীয়রা এই ঘটনা জানার পরে জনি ডাকাতকে মারধর করেছিল ।
জনি ডাকাত মেডিকেল হতে চিকিৎসা শেষে ফিরে এসে থানায় অভিযোগ দিলে আপোষ হয়।
এঘটনা সম্পর্কে সীতাকুণ্ড পৌর কাউন্সিলর ১নং ওয়ার্ড আনোয়ার হোসেন ভূইয়া বলেন,,এলাকায় খারাপ কাজে জড়িত ডাকাত জনি৷খারাপ লোকদের সাথে চলাফেরা করে নষ্ট হয়ে গেছে জনি। চুরি ডাকাতি ইভটিজিং সব খারাপ কাজে জড়িত।কিছুদিন আগেও জামিনে এসে রবির ভাগনিকে ইভটিজিং করে৷ যা আমরা কেন পুরো এলাকার মানুষ জানে। এঘটনায় সে আপোষ করে সীতাকুণ্ড থানায় অভিযোগ দিয়ে রবিদের কাছ হতে ১৪ হাজার টাকা চিকিৎসা বাবদ নেয়। তাছাড়া এই ঘটনায় নুনাছড়া মান্নানের ছেলে হৃদয় হতেও চাঁদা দাবী করেছে।চাঁদা না দিলে মিথ্যা মামলায় ফাসিয়ে দিবে হুমকী দেয়। যা নুনাছড়া এলাকার আবুল হাশেম চৌধুরীসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা অবগত আছেন।এরই মধ্যে উদ্দেশ্য প্রণোদিত তিনজন বহিরাগত ডাকাত দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে৷ যেখানে ব্যানারে এলাকার নাম ব্যবহার করো।কিন্তু এলাকার কেউ ছিলনা বহিরাগত তিনজন ডাকাত দিয়ে এই সাংবাদিক সম্মেলন এর নামে প্রহসন করে৷ ব্যানারে ছবি দেখলেই সত্যতা পাওয়া যাবে।
সারকথা জনি ডাকাত ও তার দলের কিছু অপরাধ সংবাদ মাধ্যমে তুলে ধরায় ক্ষিপ্ত হয়ে মীমাংসিত বিষয় নিয়ে জিডি করার ৬ দিনের মাথায় একই ঘটনা একই বাদী ও হুমকী প্রদর্শনকারী জয়নাল আবেদীন স্বাক্ষী হয়ে জিডি করার ৪৫ দিন পরে ১৫/৩/১৯ ইং মিথ্যা মামলা দায়ের করে সাংবাদিক নুরুল কবির দুলালের নামে।একই দিনে অভিযোগ নিয়ে কোন তদন্ত ছাড়া থানায় মামলা নেয়ায় সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়৷
উল্লেখ্য সাংবাদিক নুরুল কবির দুলাল দেশের জনপ্রিয় অনলাইন বিডি ক্রাইম নিউজ ডট কম এর সম্পাদক ও প্রকাশক।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাম্প্রতিক লাইভ ভিডিও,অনলাইনে ও দৈনিক পত্রিকায় কিছু সংবাদ পরিবেশন করে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন৷এসব সত্য পরিবেশনই তার কাল হয়ে দাড়িয়েছে বলে জানা যায়।সাংবাদিক নুরুল কবির দুলাল হাইকোর্ট হতে জামিন নিয়ে আসলে জনি ডাকাত ও তার বাহিনী এলাকায়, কোর্ট বিল্ডিং এলাকায় পোস্টার ব্যানার লাগায়৷ ওসি দেলোয়ার হোসেন বলেন একজন সাধারণ নাগরিকের নামে এভাবে পোস্টার লাগানো যায় না । এটা অপরাধ
এবিষয়ে চট্টগ্রামের সৎ সাহসী পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা বলেন এই ঘটনার সাথে যে বা যারাই জড়িত থাকুক তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
তিনি আরো বলেন,সাংবাদিক জুনিয়র কিংবা সিনিয়র যাই হউক একাধিক ডাকাতি মামলার চিন্হিত আসামী দ্বারা থানায় মিথ্যা মামলা হউয়া মোটেও কাম্য নয়৷ সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায় বলেন এরকম নোংরা কাজ সকলের জন্যই অমঙ্গল।মামলা হলে কোর্টের বিষয় তা নিয়ে পোস্টার লাগানো বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুৎসা রটানো আইনত অপরাধ।
প্রতিবাদে বনপা'র কেন্দ্রীয় নেতা প্রযুক্তিবিদ রোকমনুরজ্জামান রনি ও ফখরুল চৌধুরী পরাগ তীব্র নিন্দা ও জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম অনলাইন প্রেস ক্লাব, সীতাকুণ্ড অনলাইন প্রেস ক্লাব এসব মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। আরো নিন্দা জানিয়েছেন চট্টগ্রামের বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ৷