অনলাইন ডেস্কঃ
দুর্দান্ত জয়ে দিয়ে প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্ব শেষ করলো শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। নবাগত জায়ান্ট কিলার স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের বিপক্ষে প্রথমার্ধে দুই গোলে এগিয়ে গিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে রক্ষণ সামলে জয়ে ফিরল জুলফিকার মিন্টুর দল। তার অধীনে শেখ রাসেলের এটি প্রথম জয়।
বসুন্ধরা কিংস এরেনায় শনিবার স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘকে ২-১ গোলে হারিয়েছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র।
জয়সূচক গোল দুটি করেন মানিক মোল্লা ও আইজার আকমাতোভ। স্বাধীনতার এক গোল করেন নদিরবেক। আগের দুই ম্যাচেই ড্র করা রাসেল এই ম্যাচ জিতে ১১ ম্যাচে দশ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম অবস্থানে উঠে এল তাঁরা। সমান ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়ে তলানিতেই থাকলো স্বাধীনতা।
বসুন্ধরা কিংসকে হারিয়ে লিগ শুরু করা স্বাধীনতা আটকে দিয়েছিল আবাহনীকেও। তাই এই ম্যাচে রাসেলকে কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে এমনটা ধারনা ছিল। তবে মাঠের পারফরম্যান্সে স্বাধীনতাকে সুযোগইদেয়নি রাসেল। তৃতীয় ম্যাচে জয়ের পর সাত ম্যাচ পর আবারও জয়ে ফিরল ২০১২-১৩ মৌসুমের ট্রেবল জয়ীরা।
তৃতীয় মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করে স্বাধীনতার জাহেদুল আলম।
বক্সের ভেতরে নেদো তুর্কিভিচের বাড়ানো পাসে ছয় গজ বক্সের ঠিক সামনে থেকে বল ক্রসবারের অনেক উপর দিয়ে মারেন এই ফরোয়ার্ড। ১১ মিনিটে অল্পের জন্য গোল পায়নি রাসেল। বক্সের বাইরে থেকে থিয়াগোর দূর পাল্লার শট গোলরক্ষক সারোয়ারের আঙুল ছুঁয়ে ক্রস বারে লেগে ফিরে আসা বল জুয়েলের চেষ্টাও বিফলে যায়।
পরের মিনিটেই এগিয়ে যায় শেখ রাসেল।রহমত মিয়ার কর্নারে মানিক মোল্লার ব্যাক হেড জাল খুঁজে নেয়। উল্লাসে ভাসে রাসেলের ডাগ আউট।
২০ মিনিটে স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করে শেখ রাসেল। বক্সের মধ্যে মান্নাফ রাব্বিকে ফেলে দেন জয়নাল আবেদিন, বাঁশি বাজাতে কার্পণ্য করেননি রেফারি মিজানুর রহমান। ঠাণ্ডা মাথায় পেনাল্টি থেকে গোল করেন কীরগিজ ডিফেন্ডার আইজার আকমাতোভ। ২৫ মিনিটে রাসেলকে রক্ষা করেন আশরাফুল রানা। রাফালের ক্রসে বক্সের ভেতরে নেদোর হেড দারুণ ভাবে ফিরিয়ে দেন অভিজ্ঞ এই গোলরক্ষক।
৩৭ মিনিটে থিয়াগো ও জুয়েলের দারুণ বোঝাবুঝিতে প্রতি আক্রমণে উঠে শেখ রাসেল। স্বাধীনতার বক্সে ঢুকে পড়া জুয়েলের কাট ব্যাক থেকে হেমন্তের নেওয়া শট রুখে দেন সারোয়ার।
৫০ মিনিটে জুয়েল সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে ব্যবধান বাড়াতে পারতো শেখ রাসেল। ৬৩ মিনিটে নদিরবেক মাভলোনভের দূর পাল্লার গতির শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ফিরিয়ে দেন আশরাফুল রানা। ৭৬ মিনিটে ফ্রিকিকে নদিরবেক বল জালে জড়ালেও তা বাতিল করে দেন রেফারি। কারণ রেফারি রাসেলের মানব দেওয়াল ঠিক করে বাঁশি দেওয়ার আগেই শট নেন নদিরবেক। আবারও ফ্রিকিক নেওয়ার সুযোগ পায় স্বাধীনতা।
দ্বিতীয় দফায় নেওয়ার নদিরবেকের শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। পরের মিনিটেই দশ জনের দলে পরিণত হয় শেখ রাসেল। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন আইজার আকমাতোভ। যোগ করা চার মিনিটের মাথায় ফ্রিকিকে নদিরবেকের গোল শুধু ব্যবধানই কমিয়েছে স্বাধীনতা।