ইসলামের পথনির্দেশঃ
মানুষকে অহেতুক সন্দেহ করা, পেছনে লেগে থাকা নিন্দনীয় কাজ। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনরা, তোমরা বেশি অনুমান থেকে দূরে থাকো। নিশ্চয়ই কোনো কোনো অনুমান তো পাপ। আর তোমরা গোপন বিষয় অনুসন্ধান করো না এবং একে অপরের গিবত করো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করবে? তোমরা তো তা অপছন্দই করে থাকো। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ বেশি তাওবা কবুলকারী, অসীম দয়ালু। ’ (সুরা হুজরাত, আয়াত : ১২)
তাই অনুমান করে কাউকে আঘাত করা, তার মান-সম্মান নিলামে তুলে দেওয়া কোনো মুসলমানের কাজ হতে পারে না। চিলে কান নিয়েছে শুনে চিলের পেছনে ঝাঁপিয়ে পড়া ইসলামের শিক্ষা নয়। ইসলামের শিক্ষা হলো, কোনো খবর এলে তা যাচাই করে প্রকাশ করা।
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘হে মুমিনরা, তোমাদের কাছে যদি কোনো ফাসেক ব্যক্তি কোনো সংবাদ নিয়ে আসে, তবে তা যাচাই করো। অজ্ঞতাবশত কোনো গোষ্ঠীকে আক্রান্ত করার আগেই, (না হলে) তোমরা কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত হবে।’ (সুরা : হুজুরাত, আয়াত : ৬)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘সব শোনা কথা প্রচার ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য যথেষ্ট।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯৯২)
তাই আসুন, আমরা সচেতন হই। অনর্থক কাজে আত্মনিয়োগ করা থেকে বিরত থাকি। হতে পারে আমাদের একটি ভুল উদ্যোগের কারণে কোনো নিরপরাধ মানুষের/সম্প্রদায়ের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। এর দায় আমাদেরই নিতে হবে
অনুমানের ওপর ভিত্তি করে কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কথা বলা মিথ্যাচারের শামিল, অনেক ক্ষেত্রে তা অপবাদের পর্যায়ে পড়ে যায়। অথচ কারো ওপর অপবাদ দেওয়ার শাস্তি ভয়াবহ। মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা সচ্চরিত্রবান সরলমনা মুমিন নারীদের ব্যভিচারের অপবাদ দেয়, তারা দুনিয়া ও আখিরাতে অভিশপ্ত এবং তাদের জন্য (আখিরাতে) আছে মহাশাস্তি।’ (সুরা নুর, আয়াত : ২৩)
অতএব কিছু ঠুনকো যুক্তির ওপর ভিত্তি করে কারো সম্মানহানির জন্য আদাজল খেয়ে নেমে পড়ার আগে আরেকবার চিন্তা করা উচিত।
নইলে জাহান্নামের আগুনে জ্বলে পুড়ে মরতে হবে।তাই সকলকে বুঝার তৌফিক দান করুন (আমিন)