ধসে গেছে ৩০ মিটার, চলছে ডাম্পিং
-

অনলাইন ডেস্কঃ

যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় যমুনা নদীর বামতীর সংরক্ষণ প্রকল্পের বাঁধে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। যমুনার পানির প্রবল স্রোতে গতকাল বুধবার দুপুরের পর থেকে থেকে ওই বাঁধের কুলকান্দি মিয়াপাড়া এলাকায় প্রায় ৩০ মিটার ধসে পড়ে। ওই দিন বিকেল থেকেই বাঁধ রক্ষায় সেখানে বালিভর্তি জিওব্যাগ ডাম্পিং কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত সেখানে ভাঙন ঠেকানো গেছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী।

স্থানীয় সূত্র জানায়, অতিবৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনার পানি অস্বাভাবিক গতিতে বাড়ছে। ফলে গতকাল বুধবার বিকেলে থেকে যমুনার পানির প্রবল স্রোতে জেলার ইসলামপুরের কুলকান্দি মিয়াপাড়া পুরনো পাইলিংঘাট এলাকায় যমুনার বামতীর সংরক্ষণ বাঁধের ৩০ মিটার সিসি ব্লকসহ বিলীন হয়ে গেছে। বাঁধের হার্ড পয়েন্টে ভাঙনের ফলে কুলকান্দি বাজার, ফসলি জমি, বসতভিটা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনা যমুনা নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

খবর পেয়ে জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীরা গতকাল বুধবার বিকেলে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ পরিদর্শন করেন এবং তাৎক্ষণিক সেখানে বালিভর্তি জিওব্যাগ ডাম্পিংয়ের কাজ শুরু করেন। আপাতত সেখানে ভাঙন রোধ করা গেলেও যমুনার প্রবল স্রোতের কারণে আবারো বাঁধ ভেঙে উজানে পানি প্রবেশ করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় স্থানীয়রা।

জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাঈদ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ভারতের আসাম রাজ্যে অতিবৃষ্টিতে বন্যা দেখা দিয়েছে। ফলে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীর পানি অস্বাভাবিক গতিতে বাড়ছে। গত দুই দিনে যমুনার পানি অন্তত দেড় মিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পানির প্রবল স্রোতে বুধবার বিকেল ৪টা থেকে যমুনার পূর্বপাড়ের বাঁধের কুলকান্দি হার্ড পয়েন্টে বাঁধের প্রায় ৩০ মিটার স্থান জুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ওই দিন বিকেল থেকেই সেখানে বালুভর্তি জিওব্যাগ ডাম্পিংয়ের কাজ শুরু করা হয়। বৃহস্পতিবারও সারাদিন সেখানে ডাম্পিংয়ের কাজ করা হয়।

বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশটুকু আপাতত ঠেকানো গেছে