সাদ্দাম হোসেনঃ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার অন্তর্গত শিকলবাহা ইউনিয়নের গরিব-দুঃখী মেহনতী মানুষের ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ মোহাম্মদ ওসমান গনি আকাশ। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশনেত্রী শেখ হাসিনার আদর্শকে লালন করে দীর্ঘ চব্বিশ বছর নিঃস্বার্থ ভাবে দল ও এলাকার জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
২৯ সেপ্টেম্বর তার নিজ বাস ভবনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছোট কিংবা বড় পথ নেই তাতে কিছু যায় আসে না দুঃসময়ে দলের সাথে ছিলাম আর আগামীতেও থাকবো, কোন কিছু পাওয়ার আশায় নয়।
বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি,শেখ হাসিনার কর্মী হিসেবে আজ নিজেকে দাবি করতে পারি।
আগামীতে শিকলবাহা ইউনিয়ন নির্বাচন করার ইচ্ছা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, জনগণ চাইলে এবং নীতি নির্ধারকেরা সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিলে শিকলবাহা ইউনিয়নের জনগণের সেবক হতে পারব এমনটাই আশা করেন তিনি। এলাকার দল-মত-নির্বিশেষে গরীব অসহায় লোকজনকে সামর্থ্য অনুযায়ী সাহায্য সহযোগিতার হাত প্রসার করার জন্য জনগণের দায়িত্ব নিতে চান তিনি।
তরুণ ত্যাগী কর্মী মোঃ ওসমান গণি আকাশ ১৯৮৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ শিকলবাহা দরবার পাড়া গ্রামে এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ।
পড়াশোনা করেছেন নিজ ইউনিয়নের এ জে চৌধুরী হাই স্কুলে। পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে দলকে সময় দিয়েছেন দলের সাথে নিজেকে সার্বক্ষণিক সম্পৃক্ত রেখেছিলেন। স্মরণীয় সেদিনের কথা মনে করে তিনি বলেন, দলের জন্য কিনা করেছি, ১৯৯৮ সালে শিকলবাহা এ জে চৌধুরী ডিগ্রী কলেজ মাঠে চট্টগ্রাম উত্তর-দক্ষিণ, মহানগর আওয়ামী লীগের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশের প্রধান অতিথি ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমাবেশের পাশে আমার দেওয়া আন্দোলনের একটি ব্যানার বিএনপি সরকার আমলে প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের টাকা বোয়ালখালী জলিল আম্বিয়া কলেজে চলে যাওয়ায় এই টাকা ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা আন্দোলন করেছি। তখন এই ব্যানার আখতাজ্জামান চৌধুরী বাবু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে নতুন ভবনের জন্য চল্লিশ লক্ষ টাকা অনুদান দেন। এ সময় এ জে চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ছিলেন তিনি।
কলেজ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন ওসমান গণি আকাশ। বর্তমান এ জে চৌধুরী ডিগ্রি কলেজের শহীদ মিনার করার জন্য তৎকালীন বকুল চেয়ারম্যান, বর্তমান ২নং বড়উঠান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান দিদারুল আলম, বর্তমান কর্ণফুলী উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান দিদারুল ইসলাম সহ আরো অনেকের উপস্থিতিতে রাতে রাতে শহীদ মিনার নির্মাণ করি আমরা। ২০০০ সালে শিকলবাহা ৫নং ওয়ার্ড
রাজার বাপের বাড়ির সামনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিবার্চনী প্রচারণা জন্য আবু সৈয়দ নেতৃত্বে এই অফিস তৈরি হয়। এই অফিস উদ্বোধন করার জন্য এসেছেন বর্তমান ভূমিমন্ত্রী আলহাজ্ব সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এম পি। এই অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছিলেন তিনি। ২০০৩ সালে বক্তিয়ার সড়ক নির্মাণের দাবিতে তৎকালীন বি এন পি সরোয়ার জামান নিজাম এম পি পদ ত্যাগের দাবিতে এলাকার লোকজনকে নিয়ে আন্দোলন করেছিলেন তিনি।এই আন্দোলনের পর মেরিন একাডেমী সড়ক নির্মাণ হয়।শিকলবাহা ইউনিয়ন ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করার জন্য আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পান তিনি।পরবর্তীতে এ জে চৌধুরী ডিগ্রি কলেজের ভোটের মাধ্যমে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পান তিনি। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বি এন পি সরকারের ক্লিং হার্ট অপারেশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান আবু কালাম বকুল এর সহযোগিতা হিসেবে আমার ঘরের দরজা-জানালা ভাংচুর করেন।২০০৪ সালে ইসলামিয়া কলেজ ছাত্রলীগের মিছিল থেকে কোতোয়ালি থানায় তাকে গ্রেফতার করেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্তমান কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা তসলিম উদ্দিন রানার নেতৃত্বে কোতোয়ালি থানায় তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। বিএনপি সরকার আমলে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার অনেক হামলা-মামলার শিকার হন তিনি। তৎকালীন পশ্চিম পটিয়া বর্তমান কর্ণফুলী উপজেলার হাতেগুনা কয়েকটি আওয়ামী লীগের পরিবারের মধ্যে তাদের পরিবার একটি। তৎকালীন পশ্চিম পটিয়া আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তাঁর বড় ভাই ইউসুফ আলীর নেতৃত্বে তাদের বাড়িতে পরিচালিত হতো আওয়ামী লীগের মিটিং।
বর্তমান তিনি কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। আবুধাবি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। সংযুক্ত আরত- আমিরাতআখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর ফান্ডোশনের সহ- সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।