সাদ্দাম হোসেনঃ
নিজ এলাকার বাসিন্দাদের মন জয় করে তাদের ভালবাসা অর্জনের জন্য কেউ কোন সমস্যা নিয়ে তার কাছে আসলে শত ব্যস্ততার ভিড়েও ধৈর্য্য সহকারে তাদের কথা শুনেন, সমস্যা সমাধানের সর্বাত্মক চেষ্টা করেন। তাঁর এই সফলতার পেছনে অন্যতম প্রধান কারণ তাঁর অতি সাধারণ জীবনযাপন ও মানুষের বিপদে আপদে সর্বক্ষন পাশে থাকায় এই অদম্য মানষিকতা যা তাকে তাঁর এলাকার সর্বস্তরের মানুষের মধ্যমনি করে রেখেছেন।
তাঁর এই মহৎ কাজটি তিনি ছোটবেলা থেকে করে আসছেন ও এলাকার উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে রেখেছেন অসামান্য অবদান। তাঁর নিজ এলাকার জনগনের আস্থাভাজন ব্যাক্তি হওয়ায় ভালো কাজের জন্য ৯ নং গুন্দ্বীপ পাড়া ওয়ার্ডের সকল শ্রেণির পেশার মানুষের সমর্থন ও জনগনের ভোটের মাধ্যমে পর পর দুইবার ২নং বারশত ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং গুন্দ্বীপ ইউপি সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
২নং বারশত ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং গুন্দ্বীপ পাড়ার গ্রামের মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, আনোয়ারা উপজেলার যতগুলো ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে তাদের মধ্যে আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের সেবার মান একটু ভিন্ন, দক্ষ ও যোগ্য এম এ কাইয়ুম শাহ চেয়ারম্যান হওয়ার কারণে আজ ইউনিয়ন পরিষদে আমরা সঠিক সেবা পাচ্ছি। চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুম শাহ্ ব্যক্তিগত কাজে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ায় মোঃ কামাল উদ্দিনকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। মোঃ কামাল উদ্দিন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়ে দৃশ্যমান সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষের সেবায় অত্যন্ত প্রহরী হিসেবে কাজ করছেন । অল্প সময়ের মধ্যে ২নং বারশত ইউনিয়ন পরিষদের সর্বস্তরের মানুষের কাছে প্রিয় এক অভিভাবক হিসেবে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।
২৪শে সেপ্টেম্বর পূর্ব বাংলা প্রতিবেদক এর সাথে একান্ত সাক্ষাতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ কামাল উদ্দিন বলেন ৯নং গুন্দ্বীপ ওয়ার্ডবাসীর সকল শ্রেণির পেশায় মানুষের ভালোবাসার কারণে আজ আমি এতো দূর আসতে পেরেছি। আমাদের চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুম শাহ্ ব্যক্তিগত কাজে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ায় আমাকে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। আমি দায়িত্ব পেয়ে সাধারণ জনগনের ক্ষতি করতে পারব না। জনগণই আমার প্রাণ তাদের আমানত তাদের অধিকার খর্ব করার আমার কাজ না, জনগণের জন্য রাষ্ট্রের সকল বরাদ্দ সঠিকভাবে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। মানুষ আমার কাছে আসবে না,আমি মানুষের কাছে যাব এই নীতিতে আমি বিশ্বাস করি। মানুষের পাশে থেকে সেবা করতে পারলে আমি সান্তনা পাব। আমাদের বারশত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুম শাহ ব্যক্তিগত উদ্যোগে গত ১ আগস্ট থেকে আমাদের ইউনিয়নে ‘নবজাতক বরণ’ নামে ব্যতিক্রমী এ কর্মসূচি শুরু করেছেন।
চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুম শাহ পক্ষ আমি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে আমাদের ইউনিয়নে ধনী, গরিব, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কোনো পরিবারে নবজাতকের আগমনের খবর পেলেই ফুল ও মিষ্টি নিয়ে হাজির হই সেখানে।নবজাতকের মা-বাবাকে মিষ্টি খাইয়ে ও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। নবজাতককে কোলে নিয়ে ইউনিয়নের নাগরিক(সিটিজেন) হিসেবে বরণ করে নিচ্ছি।
বারশত ইউনিয়নের সাধারণ মানুষদের কতোটুকু সেবা দিতে পেরেছি জানিনা, জনগণ এবং আপনারা এটাই মূল্যায়ন করবেন।
বর্তমান এম এ কাইয়ুম শাহ্ সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ায় আপনার ইউনিয়নে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন? জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমার ইউনিয়নে আইন-শৃংখলার অবস্থা খুবই ভালো। আমরা সার্বক্ষণিক নজরদারি থাকায় এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী কোন কর্মকাণ্ডের দৃশ্যমান হচ্ছে না।
এলাকাবাসীর মোহাম্মদ ইয়াছিন খান বলেন, পূর্বের যে কোন সময় থেকে বর্তমান নিরাপদে ও শান্তিতে বসবাস করার কারণে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ কামাল উদ্দীন প্রতি সকলের বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ।
তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হয়ে প্রমান করেছেন সততা,ত্যাগ ন্যায়পরায়ণতাই সফলতার মূলমন্ত্র। আগামী দিনেও এলাকার জনগণের মাঝে তার এই অবস্থান থাকবে এবং তার সফল নেতৃত্বের এলাকার উন্নয়ন মূল কর্মকান্ড এগিয়ে যাবে এলাকার সর্বসাধারণের এমনটি প্রত্যাশা।