অনলাইন ডেস্কঃ
ভোরের দিকে দিনাজপুরে ঘন কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীতের আগাম বার্তা। শীত পড়তে দেড়ি থাকলেও মাঝে-মধ্যে মধ্যরাতে অনেকে ফ্যান বন্ধ রাখছে। অন্যদিকে চলছে শীতের প্রস্তুতি। আর এই প্রস্তুতিতে বিভিন্ন লেপ-তোষকের দোকানে কাজের চাপ লক্ষ্যণীয়।
শুক্রবার ভোরের দিকে ঘন কুয়াশা দেখা গেছে। তবে মাঝে মধ্যেই এই কুয়াশা ভোরের দিকে দেখা যাচ্ছে। জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। ফজরের নামাজ আদায়ের পর সবার নজরে পড়ছে এই কুয়াশার।
এসময় মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।
এ ব্যাপারে আবহাওয়া অফিস জানায়, কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে শুক্রবার ভোরের দিকে ঘন কুয়াশা পড়েছিল। এসময় এ ধরনের কুয়াশা পড়া স্বাভাবিক বলে জানায়।
ব্যবসায়ীরা জানায়, শীতের আগমনী বার্তার সাথে পাল্লা দিয়ে শীত নিবারণের উপকরণ লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা।
বিভিন্ন লেপ-তোষক কারিগর ও ব্যবসায়ীদের মাঝে কর্ম চাঞ্চল্যতা ফিরে এসেছে। কারণ প্রতিটি এলাকাতেই শীত জেকে বসার আগেই শীত নিবারণে ওইসব লেপ-তোষক তৈরীর দোকানে ভিড় করছে এ অঞ্চলের মানুষ। অনেকে রাতে ফ্যান বন্ধ রেখে হালকা কাঁথা ও কম্বল ব্যবহার শুরু করেছেন। সারা বছরের মধ্যে এ শীত মৌসুমেই তারা কাজের বেশি অর্ডার পান। ফলে এ সময় তাদের কাজ বেশি করতে হয়।
অপরদিকে শীত মৌসুম শুরুতেই বিভিন্ন গ্রাম্য পরিবারের গৃহবধূরা কাঁথা সেলাই শুরু করেছেন। অনেক পরিবার রয়েছে, যারা কাঁথা সেলাইয়ের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। আবার গরীব পরিবারের মহিলারা পুরান শাড়ি, লুঙ্গি দিয়ে কাঁথা তৈরি করে চলেছেন। তাদের লেপ-তোষকের স্বাদ থাকলেও অনেকের সাধ্য না থাকায় রং-বেরঙের সুতা ও কাপড় দিয়ে কাঁথা বুনছেন শীত কামড় থেকে নিজেদের সুরক্ষার জন্য।
ভোরে সকালে হাটার সময় আলী আকবর জানায়, এখন গরমের তীব্রতা নেই। আবার শীত অনুভূত না হলেও আজ কুয়াশা পড়েছে। রাতে ফ্যান বন্ধ রাখতে হচ্ছে অনেক সময়। ঋতু পরিবর্তনের এটা পূর্বাভাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, কয়েকদিনের সামান্য বৃষ্টির কারণে শুক্রবার ভোর থেকে ঘন কুয়াশা পড়েছিল। এসময় এ ধনের কুয়াশা পড়া স্বাভাবিক। এখন তাপমাত্রা ২৩ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে।