অনলাইন ডেস্কঃ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেল এর ৫৮তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে ভারতের নয়াদিল্লিতে। এ উপলক্ষে বুধবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লীস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনের বঙ্গবন্ধু হল মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু ও শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান ও দূতাবাস কর্মকর্তারা।
পরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
অন্যান্যের মধ্যে দূতাবাসের মিনিস্টার (প্রেস) শাবান মাহমুদ আলোচনায় অংশ নেন। এর আগে, শেখ রাসেলের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শিত হয়।
এসময় হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের এক সুগভীর চক্রান্তের মধ্যদিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের হত্যা করা হয়। এদিন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলকে হত্যার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর খুনিরা এক ঘৃণ্য ইতিহাস রচনা করে যা বিশ্ব মানবতার শক্রু হিসেবে চিহ্নিত হয়।
তিনি বলেন, শেখ রাসেল আজ বেঁচে থাকলে নিশ্চয়ই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে প্রজন্মের নন্দিত নেতা হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ নির্মাণে ভূমিকা রাখতে পারতেন। তাঁর হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের একজন ভবিষ্যত নেতাকেই হারাতে হয়েছে এ জাতির।
আলোচনা শেষে দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে জন্মদিনের কেক কাটেন হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী তানজিন বিনতে আলমগীর। এ উপলক্ষে শিশু চিত্রাংকন প্রতিযোগীতায় অংশ নেওয়া বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
সবশেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শহীদ শেখ রাসেলসহ সকল শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।