অনলাইন ডেস্কঃ
আল্লাহ বলেন, ‘তিনি যা করেন সে বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে না; বরং তাদের প্রশ্ন করা হবে। ’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ২৩)
তাফসির : আলোচ্য আয়াতে মহান আল্লাহর নিরঙ্কুশ ক্ষমতার কথা বর্ণিত হয়েছে। সৃষ্টিজগতের সব কিছু মহান আল্লাহর জ্ঞান, ইচ্ছা, নির্দেশনা বা শক্তির অনুকূলে সংগঠিত হয়। দৃশ্য-অদৃশ্য জগৎ, নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের অতিক্ষুদ্র বিষয়েও তিনি সম্যক অবগত।
ইরশাদ হয়েছে, ‘অদৃশ্যের চাবিকাঠি তাঁর কাছেই, তিনি ছাড়া কেউ তা জানে না, জলে ও স্থলে যা কিছু আছে তা সম্পর্কে তিনিই অবগত, তাঁর অজ্ঞাতে একটি পাতাও পড়ে না ও ভূপৃষ্ঠের অন্ধকারে কোনো শস্যকণাও অঙ্কুরিত হয় না অথবা রসযুক্ত বা শুষ্ক কোনো বস্তু নেই যা সম্পর্কে সুস্পষ্ট কিতাবে নেই। ’ (সুরা আনআম, আয়াত : ৫৯)
মহান আল্লাহর কোনো বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলার অধিকার কারো নেই। তিনি সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা ও পরিচালনাকারী। তাই সব প্রশ্নের ঊর্ধ্বে তিনি।
বরং তিনি যা ইচ্ছা তাই করতে সক্ষম। ইরশাদ হয়েছে, তাঁর ব্যাপার হলো, তিনি যখন কোনো কিছুর ইচ্ছা করেন তিনি বলেন, হও, ফলে তা হয়ে যায়। ’ (সুরা ইয়াসিন, আয়াত : ৮২)
পক্ষান্তরে সব সৃষ্টি বিশেষত মানুষ ও জিন জাতিকে তাদের কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘শপথ আপনার প্রতিপালকের, আমি তাদের সবাইকে অবশ্যই প্রশ্ন করব।
সে বিষয়ে যা তারা করে। অতএব আপনি যে বিষয়ে আদিষ্ট হয়েছেন তা প্রকাশ্যে প্রচার করুন এবং মুশরিকদের উপেক্ষা করুন। ’ (সুরা হিজর, আয়াত : ৯২-৯৪)
অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, ‘আপনি বলুন, তোমরা কাজ করতে থাকো, আল্লাহ তোমাদের কার্যক্রম লক্ষ্য করবেন এবং তাঁর রাসুল ও মুমিনরাও করবে, অচিরেই তোমরা ফিরবে অদৃশ্য ও দৃশ্যমান জগৎ সম্পর্কে জ্ঞাত সত্তার কাছে, অতঃপর তিনি তোমাদের জানাবেন তোমরা যা করতে। ’ (সুরা তাওবা, আয়াত : ১০৫)
কবর থেকেই মানুষকে জিজ্ঞাসার পর্ব শুরু হবে। দাফনের পর তিনটি বিষয়ে জিজ্ঞাসার কথা হাদিসে এসেছে।
বারা বিন আজিব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) মুমিনের মৃত্যু-পরবর্তী ঘটনা প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘দুজন ফেরেশতা এসে তাকে বসিয়ে জিজ্ঞাসা করবেন যে তোমার রব কে? সে বলবে, আমার রব আল্লাহ। অতঃপর তারা বলবে, তোমার দ্বিন কী? সে বলবে, আমার দ্বিন ইসলাম। অতঃপর তারা বলবে, সেই ব্যক্তি কে যাকে তোমাদের মধ্যে পাঠানো হয়েছিল? সে বলবে, তিনি রাসুল (সা.)। ...’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৩৬৯)