কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন যারা
-

সাদ্দাম হোসেন 
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আবারও জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারুক চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ২১ হাজার ২০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৯৯৮ ভোট।

কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ গঠনের পর এটি দ্বিতীয় নির্বাচন। পরপর দুবারই ফারুক চৌধুরী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

অপরদিকে, ভাইস চেয়ারম্যান পদে আমির আহমদ চশমা প্রতীক নিয়ে ১৮ হাজার ২৩৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী মো. মহিউদ্দীন মুরাদ উড়োজাহাজ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৭ হাজার ১৩ ভোট। অপর প্রার্থী আবদুল হালিম তালা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৭৯৫ ভোট।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফারহানা মমতাজ ফুটবল প্রতীক নিয়ে ৩৫ হাজার ১৮৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বানাজা বেগম হাঁস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন দুই হাজার ৯০০ ভোট। অপর দুই প্রার্থী মোমেনা আকতার নয়ন কলস প্রতীকে দুই হাজার ৫৩৫ ও রানু আকতার বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৯৫ ভোট।

গত কাল বুধবার (২ নভেম্বর) রাতে কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ফল ঘোষণা করেন।

কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটার এক লাখ ১৬ হাজার ৫৭২ জন। নির্বাচনে ৪২টি কেন্দ্রের ৩২০টি বুথে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ৪৫ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ৩২০ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এবং ৬২০ জন পোলিং কর্মকর্তা কাজ করেন।

তবে নির্বাচনে কর্ণফুলী উপজেলার বড় উঠানে নির্বাচন চলাকালে ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টায় তিনজনকে আটক করেছেন কর্তব্যরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। আটককৃতরা হলেন- কর্ণফুলী উপজেলার দৌলতপুরের আমিনুল হকের ছেলে মো. মোরশেদুল ইসলাম, স্বামীপুরের রাজ্জাকপাড়ার আবু তাহেরের ছেলে মো. কাওসার এবং শিকলবাহা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত শাহ আলমের ছেলে সালাউদ্দিন মন্ডল। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে তাদের আটক করে জরিমানা আদায় করা হয়। পরে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।