অনলাইন ডেস্কঃ
সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জাতির পিতার হত্যাকারী মোশতাক, জিয়াউর রহমান। এরাই কিন্তু জেলহত্যা ঘটিয়েছিল। জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে। মুক্তিযুদ্ধের বিজয়টাকে নস্যাৎ করতে চেয়েছিল।
এ কারণে জাতির পিতার অনুপস্থিতিতে যারা মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন তাদের হত্যা করা হয়েছিল। ’
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্বে সংসদের ২০তম অধিবেশনের বৃহস্পতিবারের বৈঠকে পয়েন্ট অব অর্ডারে জেল হত্যা দিবসের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনায় আরও অংশ নেন আওয়ামী লীগের প্রবীণ পার্লামেন্টারিয়ান আমীর হেসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা বেনজীর আহমদ, তানভির শাকিল জয়, নাহিদ ইজহার, জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ, মশিউর রহমার রাঙা প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেল হত্যা এবং যুদ্ধাপরাধের বিচার করায় প্রমাণ হয়েছে দেশে আইনের শাসন আছে।
আর এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার করা সম্ভব হয়েছে বলেই দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। এতে প্রমাণ হয়েছে দেশে আইনের শাসন আছে, যা অতীতে ছিল না। বিচারের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশকে অভিশাপ মুক্ত করতে পেরেছি। এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে যদি আমরা সক্ষম না হতাম তাহলে দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হতো না।
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেছে। এরশাদও একই কাজ করল। খুনী ফারুককে রাজনৈতিক দল করতে দিয়ে তাকে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী করেছিল। ব্যারিস্টার মইনুল ইসলাম বড় বড় কথা বলে, সেও খুনিদের নিয়ে রাজনৈতিক দল গঠন করেছিল। ২১ বছর ক্ষমতায় এসে আমরা বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেল হত্যা এবং যুদ্ধাপরাধের বিচার করতে পেরেছি।
এখনো বঙ্গবন্ধুর কয়েকজন সাজাপ্রাপ্ত খুনি বিদেশে পালিয়ে আছে। আমাদের প্রচেষ্টা আছে তাদের ফিরিয়ে আনার। কিন্তু এ বিষয়ে না আমরা আমেরিকার, না কানাডার, না পাকিস্তানের সহযোগিতা পাচ্ছি। অথচ আজ আমাদের মানবাধিকারের বড় বড় কথা শুনতে হয়। তবে এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার আমরা করেছি। ’(সূত্র ঃবিডি প্রতিদিন)