অনলাইন ডেস্কঃ
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতীয় চার নেতার স্মরণে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরী সভাপতি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী ডা. অরুপ রতন চৌধুরী, সহ-সভাপতি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী ড. মনোরঞ্জন ঘোষাল, সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অভিনেত্রী তারিন জাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক সুজন হালদার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক লায়ন মিযানুর রহমান, কণ্ঠশিল্পী লিসা কালাম, অভিনেত্রী পারুল আক্তার লোপা, মোতাচ্ছিম বিল্লাহ, রাজ সরকারসহ নাট্য ও চলচ্চিত্র অঙ্গণের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য দেন।
সভায় বক্তারা বলেন, ‘১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবসের সাথে জিয়াউর রহমান সরাসরি জড়িত ছিলেন। তার মরণোত্তর বিচারের দাবি করেন তারা।
তাছাড়া জিয়াউর রহমান হাজার হাজার সেনা মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেন। বাংলাদেশে হত্যার রাজনীতি শুরু করেছেন জেনারেল জিয়াউর রহমান। খালেদা জিয়া তারেক জিয়াও হত্যার রাজনীতি করেছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছিল তারেক জিয়ার নির্দেশে। এখনো ষড়যন্ত্র করছে দেশের বিরুদ্ধে ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে। তারা জানে জনগণের ভোটের বিএনপি কখনো নির্বাচিত হতে পারবে না। তাই ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছেন। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করার জন্য চেষ্টা করছেন।
তারেক জিয়ার সাহস থাকলে বাংলাদেশের মাটিতে এসে রাজনীতি করুক। বাংলাদেশের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশের মাটিতে বসে বিএনপি পরিচালনা করছে। তিনি দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। খালেদা জিয়াও দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। জননেত্রী শেখ হাসিনা দয়া করে তাকে জামিন দিয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকল শক্তিকে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে বাংলার মাটি থেকে চিরতরে এই স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে। ’
সকালে ৩২ বঙ্গবন্ধু ভবনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ও বনানী কবরস্থানে রফিকুল আলম, অরুন সরকার রানা, তানভিন সুইটি’র নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের নেতৃবৃন্দ।