অনলাইন ডেস্কঃ
আগাম আলুর ক্ষেতে গাঢ় সবুজ পাতা দোল খাচ্ছে বাতাসে। আলুর ক্ষেতে নিড়ানি দিচ্ছেন কৃষকেরা। কেউ কীটনাশক ছিটাচ্ছেন কেউবা আলু গাছের সারিতে কোদাল দিয়ে মাটি তুলে দিচ্ছেন। ফসল উৎসবের ঋতু হেমন্তে আগাম শীত পড়তে শুরু করায় আলুর বাম্পার ফলনের আশায় নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার কৃষকেরা আগাম আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
আর মাত্র ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে বাজারে আসবে এ আলু। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় বেশী দামে বিক্রি করে লাভবান হবেন কৃষকেরা। চলতি বছর উপজেলায় ৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আগাম আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা বিগত বছরের চেয়ে ১০০ হেক্টর বেশি।
আগাম আলু চাষে পরিচিত নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা। আর এ ঊপজেলার কৃষকেরা রবি মৌসুমে অধিক লাভের আশায় আগে ভাগে আলুর আবাদে নেমে পড়েন। যা প্রায় তিনদশক থেকে আগাম আলুচাষে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। মৌসুমের শুরুতে নতুন আলুর ব্যাপক চাহিদা এবং কদর থাকায় মাঠের আলু মাঠে বিক্রি করেন ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে।
এ উপজেলার মাটি বেলে-দোঁআশ ও উচু হওয়ায় এবং আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এখানে ব্যাপক হারে সেভেন জাতের আগাম আলু চাষ হয়ে থাকে। ক্ষেতের আগাম আমন ধান কেটে ৫০থেকে ৫৫ দিনে উত্তোলন যোগ্য সেভেনজাতের আগাম আলু রোপন করেন কৃষকেরা। এখন সেই আলুর ক্ষেত গুলো বিরামহীনভাবে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা ।
বাহাগিলী ইউনিয়নের ঊত্তর দুরাকুটি গ্রামের কবিরাজ পাড়ার কৃষক শামীম বাবু বলেন,এবার ২৫ বিঘা জমিতে আশ্বিনের শুরুতে আলুর বীজ বোপন করেছি। এবার আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় গতবারের চেয়ে ভালফলনের আশা করেছি।
তবে এ বছর সার ,ডিজেল,নিত্যপণ্যর দাম বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে হালচাষ ও কৃষি শ্রমিকের মজুরি। এতে বিগত বছরের চেয়ে বিঘায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে ৮ থেকে ১০হাজার টাকা। যা বিঘায় খরচ হয়েছে ৩০থেকে ৩৫ হাজার টাকা । আগাম বাজার দর যদি ঠিক থাকে তাহলে খরচ বাদে বিঘায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা লাভ করতে পারব।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, চলতি মৌসুমে অনূকুল আবহাওয়ায় আগাম আলুর বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে। দেশের অন্যান্য জেলার চেয়ে এ উপজেলার আলু আগে ঊঠবে । এতে বেশী দাম পেয়ে কৃষকরা লাভবান হবেন। ভালভাবে আলু ঊৎপাদনে মাঠপর্যায়ে কৃষককে সার্বিকভাবে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।