অনলাইন ডেস্ক
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না গেলে দেশের সর্বনাশ হয়ে যাবে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশে বোমাবাজি খুন বেড়ে যাবে। বিএনপির জন্ম খুনের মধ্য দিয়ে। তারা খুনিদের পার্টি। তাই দেশ ও মানুষের স্বার্থে আবারও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে হবে।
সোমবার বিকেলে নগরের কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এমপি বলেন, গত ৩ বছরে আমেরিকায় পুলিশ কর্তৃক ৩ হাজার ৭৬ জন বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন। নিখোঁজ হয়েছেন ১৫ লক্ষাধিক। অথচ এই সময়ে বাংলাদেশে একইভাবে মাত্র ৩ জিন মারা গেছেন। আর নিখোঁজের সংখ্যা হাতেগোনা। তিনি বলেন, তারপরও সবাই এখানকার মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চবাচ্য করে। যারা মানবাধিকার নিয়ে বারবার চিৎকার চেঁচামেচি করে তাদের লজ্জা হওয়া উচিত। ড. মোমেন বলেন, বিএনপি আমলে রপ্তানি ছিলো মাত্র ৬ বিলিয়ন ডলারের, আর বর্তমান সরকারের আমলে রপ্তানি উন্নীত হয়েছে ৬০ বিলিয়ন ডলারে, যা তাদের তুলনায় ছয়গুণ বেশি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সরকারের তুলনায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন দশগুণ বেশি রয়েছে। রিজার্ভ নিয়ে বিএনপি অযথাই অপপ্রচার চালাচ্ছে। গত চৌদ্দ বছরে বাংলাদেশে দারিদ্র্যসীমা অর্ধেকে নেমে এসেছে ; এটি বিশ্বের মধ্যে রেকর্ড বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আগামী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ও জাতীয় নির্বাচনে মানুষের কাছে সরকারের অবদানের কথা জানান দিতে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।বিশেষ অতিথি জাহাঙ্গির কবির নানক বলেন, আমরা এখন কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিজেদের বিরোধ ভুলে যেতে হবে। শেখ হাসিনা আমাদের নেতা। তার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। তিনি বলেন, বৈশ্বিক সংকটের কারনে দেশে দ্রব্যমুল্য বেড়েছে। সরকার তা নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করছে।বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, শতকরা ৯৯ শতাংশ ভোট যারা রাতের আঁধারে করেছিলো তারা এখন আমাদের ভোট শেখায়। গণতন্ত্র শেখায়। আমাদের গণতন্ত্র শেখাতে আসবেন না। শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের জন্য আজীবন লড়াই করেছেন।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও শফিউল আলম নাদেল, প্রবাসী ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. মুশফিক আহমদ চৌধুরী ও আজিজুস সামাদ ডন, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, সংসদ সদস্য হাফিজ আহমদ মজুমদার ও হাবিবুর রহমান প্রমুখ।