সাদ্দাম হোসেন
শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, বিএনপি এদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে, ভয়ভীতি দেখিয়ে, হয়তো তাদের বিদেশি প্রভুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাবে। কিন্তু কোনো বিদেশি প্রভুদের নির্দেশনায় বা হস্তক্ষেপে বাংলাদেশে নির্বাচন হবে না। সরকারও পরিবর্তন হবে না। বিএনপির কোনো নেতার রাষ্ট্র পরিচালনা করার কোনো যোগ্যতা নাই। না আছে খালেদা জিয়ার, না আছে তার গুণধর পুত্র তারেকের। দক্ষতা নাই বলে আজ তারা এ দেশকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
তিনি বলেন, ক্ষমতায় আসতে হলে প্রথমে তাদের দেশের মানুষের কাছে মাফ চাইতে হবে। ২০০৬ সাল পর্যন্ত এদেশের মানুষের ওপর অত্যাচার চালিয়েছে। ভয়ভীতি দেখিয়ে বোমাবাজি করে দেশ চালোনো যায় না। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের নেতারা তাদের (বিএনপি) উদ্দেশ্য হাসিল করতে দিবে না। তাই আমি আমাদের নেতাদের নির্দেশ দিচ্ছি আপনারা রাজপথে থাকবেন। আপনাদের সাথে নিয়েই এই সন্ত্রাসীদের আমরা শায়েস্তা করবো।
গতকাল মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) নগরের কাজীর দেউড়ির ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে যুবলীগের প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী ৪ ডিসেম্বর পলোগ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে বিভাগীয় সমাবেশের আয়োজন করে যুবলীগ। প্রধানমন্ত্রীর জনসভা নিয়ে চট্টগ্রামসহ ১১ জেলার যুবলীগের প্রস্তুতি সভায় সভাপতিত্ব করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।
সমাবেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বিএনপির অনেক নেতাকর্মী জোশে হুঁশ হারিয়ে ফেলেছে। আমি শুধু একটা কথাই বলবো জোশে হুঁশ হারায়েন না। বেহুঁশ হইয়েন না।
আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত এ সভায় মাহবুব উল আলম হানিফ আরও বলেন, বিএনপি মিথ্যা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায়। দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী দলকে সন্ত্রাসী বললে তাদের গা জ্বালা করে। এ বিএনপি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার বহু পরিকল্পনা ও চেষ্টা করেছে। কিন্তু আল্লাহ রক্ষা করেছেন। আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়েছে।
যুবলীগের প্রস্তুতি সভায় যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর আলম শাহীন, মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, এম শাহাদাত হোসেন তসলিম, আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম, আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু মনির মো. শহিদুল হক রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মশিউর রহমান চপল, তথ্যও গভেষণা সম্পাদক মীর মোহাম্মদ মহি উদ্দিন, মো. আব্দুল হাই, আদিত্য নন্দী, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট,মোঃ মোনায়েম খানসহ আরও অনেকে।
সভার একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় এক লাখ লোকের জমায়েতের টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। তিনি বলেছেন, ‘আমি এক লাখ লোকের মিছিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যেতে চাই। মহানগর যুবলীগের কাছে এক লাখ জমায়েত চাই। এরপর উত্তর ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগ যত জমায়েত দিতে পারে, সেটা দেবে।’
যুবলীগ চেয়ারম্যান নগর কমিটিতে পদপ্রত্যাশী এবং তৃণমূল কমিটির নেতাদের মঞ্চের সামনে ডেকে এনে কে কত জমায়েত করতে পারবেন- সে বিষয়ে জানতে চান। নেতাদের কেউ ১০ হাজার, কেউ ৮ হাজার, কেউ ৫ হাজার- এভাবে জমায়েতের প্রতিশ্রুতি দেন। নেতা কর্জমীরা। জনসভা সফল করতে যুবলীগের চট্টগ্রামের সকল নেতাকর্মীকে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান শেখ পরশ।