সাদ্দাম হোসেনঃ
বটতলী রুস্তমহাট বাজারে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে ৪ টি দোকান ও দুইটি গোডাউনে এক কোটি ৩০ লাখ টাকা ক্ষতির অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
গত বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাত ১১.৩০ মিনিটের সময় আনোয়ারা উপজেলার বটতলী রুস্তমহাট বাজারে দোকানগুলোতে ব্যবসা করেই সংসার চালাত পাইকারী মুদির দোকান ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালামের নিউ মদিনা ষ্টোরের মুদির দোকান ও ২ টি গোডাউন, মুদির দোকান ব্যবসায়ী নাছির উদ্দীনের দোকান, ওষুধ ব্যবসায়ী কুতুব উদ্দিনের দোকান, রেড়িও সার্ভিস ব্যবসায়ী মো.নজরুল ইসলাম সহ সকলের দোকানের সব মালামাল পুড়ে যাওয়ায় এখন দিশেহারা তারা।
নিউ মদিনা ষ্টোরের মালিক আবুল কালাম জানান,আমার দোকান এবং গোডাউনের মালামালসহ প্রায় ৮০ থেকে ৮৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আগুন লেগে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সংযুক্ত দুইটি গোডাউন পড়ে ছাই হয়ে গেছে এ প্রতিষ্ঠানের ২০০ কার্টুন সয়াবিন তৈল ১৫০ কার্টুন, মার্কস, এমা, স্টারশিপ,ডানা দুধ পাউডার। ৫০ বস্তা চিনি, ৩০০ কেজি সিলন চা পাতা, ১৫০০ কেইচ বিভিন্ন ব্র্যান্ডর কোমল পানি,১০০০ হাজার আইটেমের মুদির বিভিন্ন মালামাল পুড়ে যায়। এই মালামাল ক্রয় করি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে। এখন আমার সব শেষ হয়ে গেছে আমার আর কিছু নেই এখন আমি দিশেহারা।
মেসার্স বশির স্টোর এর মালিক মোঃ নাছির উদ্দিন বলেন, আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মজুদ টাকা বিপুল পরিমাণ চাল, ডাল, তৈল, চিনি, দুধ সহ বিভিন্ন স্টেশনারি ও মুদির মালামাল পুড়ে অনুমান ১৫ লক্ষ টাকার অধিক আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন আমার আর কিছু নেই আমি দিশেহারা।
নজরুল রেডিও সার্ভিস এর মালিক নজরুল ইসলাম বলেন, আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মজুদ থাকা বিপুল পরিমাণ এল সিডি, এলইডি টিভি( নতুন/পুরাতন) ফ্যান। ফ্যানের ব্যাটারী, আইপিএস ব্যাটারি, টর্চ লাইটর্স ব্যাটারী, কম্পিউটার সহ বিভিন্ন ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য পুড়ে অনুমান ১২ লক্ষ টাকার অধিক ক্ষতি হয়েছে। এখন আমার আর কিছু নেই আমি দিশেহারা।
ওষুধ ফার্মেসী দোকানদার কুতুবুদ্দিন বলেন, আমার সব ওষুধ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।আমার ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এখন আমার আর কিছু নেই আমি দিশেহারা।
বাজারের পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা মোঃ রশিদ জানান, রাতে বাজারের চিল্লাচিল্লি শুনে ঘুম থেকে উঠে বাজারে যাই। দেখি আগুন জ্বলছে দোকানগুলোতে। উপস্থিত সবাই আগুন নেভাতে আপ্রাণ চেষ্টা করে।কিন্তু ততক্ষণে সবশেষ।
বাজারের জাহাঙ্গীর আলম জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে আমি দ্রুত বাজারে যাই। উপস্থিত সবাই আগুন নেভাতে চেষ্টা করে। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের দুটি টিম এসে আগুন পূর্ণাঙ্গভাবে নেভায়। তবে ততক্ষণে দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিস প্রাথমিকভাবে শট সার্কিটের কারণে আগুন লাগার ধারণা করেছেন।
ভয়াবহ আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ও ভুক্তভোগী আবুল কালাম (নিউ মদিনা দোকানের মালিক) দিশেহারা হয়ে বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।