সাদ্দাম হোসেন
আনোয়ারায় জমি বিরোধের ঘটনায় বৈঠক শেষে বাড়িতে ফেরার পথে হত্যার হুমকি অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আজ বুধবার দুপুরে চারজনকে অভিযুক্ত করে আনোয়ারা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন বাবুল কান্তি দে (৬০) নামে এক ব্যক্তি।
যাহার জিডি নং-১২৭৬/২৩।
অভিযোগ সূত্র জানা যায়, উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের গুয়াপঞ্চক এলাকার বাবুল কান্তি দে ও মো. জাকির হোসেনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি বিরোধ চলে আসছে। এসব বিষয় নিয়ে গত মঙ্গলবার রাতে আনোয়ারা থানায় উভয়পক্ষের সালিশী বৈঠক শেষে রাতে বাড়ি ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে।
ভূক্তভোগী বাবুল কান্তি দে বলেন,চাতরী মৌজায় আমার মৌরশী সম্পত্তি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়ে এক পক্ষের সাথে বায়নামা সম্পাদন করি। বায়না গ্রহীতাপক্ষ ভূমিতে বালি ভরাটের মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন করিতে গেলে প্রতিপক্ষগণ অযৌক্তিক দাবী দাওয়া নিয়ে বাঁধা প্রদান করে আমাদের নামে থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের আলোকে মঙ্গলবার রাতে আনোয়ারা থানায় উভয়পক্ষের সালিশী বৈঠক শেষে রাতে বাড়ি ফেরার পথে আমাকে প্রতিপক্ষ মৃত আমির হোসেন মাঝি ছেলে মো.হোসেন,মো.জাকের হোসেন, মো.ইমাম আলী,মো.হোসেন এর ছেলে মো.আমজাদ হোসেন অহেতুক তর্কে লিপ্ত হয়ে মারধরের চেষ্টা চালায় উপস্থিত লোকজনের সহায়তায় তাদের হাত থেকে রক্ষা পায়। পরে রাজছিলা ফকিরের মাজারের নুনা পুকুরের রাস্তার উপর আমাকে ও সাক্ষী রনজিত দে,সনজিত দে, অপুর দে,কে মারধরের চেষ্টা চালাইয়া প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেন প্রতিপক্ষগণ সহ তাদের সহযোগিরা।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত মো জাকের হোসেন বলেন, বৈঠক শেষে কার সাথে না কার সাথে বাডা বাডি হয়েছে পুলিশ বের হয়ে লাঠি চার্জ করেছে। আমাদের সাথে বাবুল কান্তি দের সাথে বাডা বাডি হয়নি কোথায় হয়েছে প্রমান দিতে বলেন।আমি চলে গেছি বাসায় আমার ভাইরা চলে গেছে বাড়িতে ওরা মিথ্যা কথা বলছে। ১৯৮২ সালে আমার ভাই আমার নামে ৭১ শতক জমি ক্রয় করেন। ওই জমি ৪১ বছর ধরে আমরা ভোগ দখল করে আসচ্ছি।স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সহযোগিতায় শতাধিক লোক নিয়ে তারা রাতের আধাঁরে জমি দখল করে মাটি ভরাট করে। এ সময় ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা চাওয়া হলে আনোয়ারা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এ সময় জমি ভরাটকারীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। সহকারী কমিশনার (ভূমি), এবং মাননীয় ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি মহোদয়কে বিষয়টি আমরা জানিছি।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর্জা মুহাম্মদ হাছান বলেন, বাবুল কান্তি দে সাথে জায়গায় নিয়ে বিরোধ ছিল। গত কাল আমার কাছে এসেছে তারা।১৯৮২ সালে জাকেরা ৭১ শতক জমি ক্রয় করেছেন।আমাকে একটা দলিল দেখেছেন তারা। হুমকি বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।