সাদ্দাম হোসেন:
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় চাতরী ইউনিয়ন পরিষদের নতুন অর্থ বছরের উম্মুক্ত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার (২৯ মে) বিকেলে চাতরী চৌমুহনী ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে এই বাজেট ঘোষণা করা হয়।
চাতরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন চৌধুরী সোহেলের সভাপতিত্বে বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইশতিয়াক ইমন।
২০২৩-২৪ অর্থ বছরের জন্য বাজেট অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন চৌধুরী সোহেল বলেন, আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক মাননীয় ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি মহোদয়েরর একান্ত প্রচেষ্ঠায় চাতরী ইউনিয়নে হয়েছে কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এখনও বিভিন্ন এলাকায় চলছে উন্নয়ন কর্মজ্ঞ। এ উন্নয়নের ধারাবাহিকত অব্যাহত রাখতে এ বাজেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের জন্য রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৪৩ লাখ ১২ হাজার ৮৪০ টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে, ১৯ লাখ ২ হাজার টাকা। রাজস্ব ব্যয় ধরা হয়েছে, ১৮ লাখ ৮৮ হাজার ৪১২ টাকা। তাছাড়া উন্নয়ন বাজেটে ১ কোটি ২৪ লাখ ১০ হাজার ৮৪০ টাকা আয় ধরা হয়েছে। ১ কোটি ২২ লাখ ৩৩ হাজার ১৪০ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এতে সর্বমোট ১ লাখ ৭৭ হাজার ৭০০ টাকা উদ্বৃত্ত ধরা হয়েছে।
বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানের ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের জন্য এ ইউনিয়ন পরিষদের প্রস্তাবিত খসড়া বাজেটে কোন প্রকার সংশোধনী না থাকায় সর্বসম্মতিক্রমে চুড়ান্ত বাজেট হিসেবে অনুমোদনের জন্য পাশ করা হয়েছে।
বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইশতিয়াক ইমন বলেন, স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে বর্তমান সরকার। প্রকল্প গুলো বাস্তবায়ন করতে পরিকল্পিত বাজেটের বিকল্প নেই। এ বাজেট গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ ভুমিকা রাখবে বলে আশা করছি।
ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোহাম্মদ শাহ আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নুরুচ্ছফা।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন, ইউপি সদস্য আবদুল মান্নান আজাদ, রাশেদ নেওয়াজ চৌধুরী ছোট্টো, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফিরোজ খান, আবদুল মান্নান, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, কৃষি কর্মকর্তা বাবু দীপক কুমার দাশ, যুবলীগের সহ সভাপতি মো. শামসুল আলম, ছাত্রলীগ নেতা মো. এরফান আলীসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা।