অনলাইন ডেস্কঃ
ন্যাশ বা ফ্যাটি লিভার (লিভারে চর্বিজনিত ক্ষত ও প্রদাহ) একটি নিরব ঘাতক। বাংলাদেশে প্রতি ৪ জনে ১ জন, স্থুলাকার শিশুদের প্রতি ৫ জনের ২ জন, ডায়াবেটিস রোগী ও স্থুলাকার ব্যক্তিদের প্রতি ৫ জনের প্রায় ৩ জন ফ্যাটি লিভারে ভুগছে। তবে, আতংকিত নয়, ন্যাশ প্রতিরোধে প্রয়োজন সচেতনতা।
বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক ন্যাশ দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ও লিভার কেয়ার সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সভায় বিশেষজ্ঞরা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাহ উদ্দিন মো. রেজার সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র সহ-সভাপতি চৌধুরী ফরিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক। সভায় অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান, প্রধান বক্তা ছিলেন লিভার কেয়ার সোসাইটির সভাপতি এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারি অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। বক্তব্য রাখেন লিভার সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও চমেক হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. তারেক শাম্স। খাদ্যাভ্যাস নিয়ে আলোচনা করেন পুষ্টিবিদ হাসিনা আকতার লিপি।
উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার, ক্রীড়া সম্পাদক এম সরওয়ারুল আলম সোহেল, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক আল রাহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খোরশেদুল আলম শামীম, কার্যকরী সদস্য আইয়ুব আলী ও মঞ্জুরুল আলম মঞ্জ প্রমুখ।
চমেক হাসপাতালের সহকারি অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, স্থুলতা বা অতিরিক্ত ওজন, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে অতিরিক্ত চর্বি, হাইপোথাইরয়েডিজম, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও আরামপ্রিয় জীবন-যাপন, জাংকফুড, ফাস্টফুড, তৈলাক্ত খাবার, অতিরিক্ত মিষ্টি ও কোকাকোলা জাতীয় পানীয় আসক্তি, মদ ও অন্যান্য মাদক দ্রব্যসেবন, কিছু ওষুধের ক্ষতিকর প্রভাব এবং হেপাটাইটিস ‘বি’ ও ‘সি’ সংক্রমণ ফ্যাটি লিভারের অন্যতম কারণ।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাকিব হাসান বলেন, শহর পর্যায়ে ফ্যাটি লিভার আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। এমন পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে আমাদের জীবন যাপনের ধরণ পরিবর্তন করতে হবে।
খেলাধুলা এবং হাঁটার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। একই সঙ্গে ফাস্টফুড, জাংকফুড, তৈলাক্ত খাবার, অতিরিক্ত মিষ্টি ও চর্বি জাতীয় খাবার বর্জন করতে হবে।