সাদ্দাম হোসেন,
আনোয়ারা উপজেলায় স্বাধীনতার ৫২ বছর পর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলেন চাতরী ইউনিয়নের বাসিন্দা শামসুদ্দিন আহমদ চৌধুরী।
গত ১৫ জুন (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ গেজেটের ৭৪৬২ নম্বরে চট্টগ্রাম আনোয়ারা উপজেলায় চাতরী ইউনিয়নের বাসিন্দা শামসুদ্দিন আহমদ চৌধুরীসহ ৭৯ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম প্রকাশিত হয়। এরমধ্যে আনোয়ারা উপজেলার ৩১জন বীর মুক্তিদ্ধোর নাম প্রকাশিত হয়।
জানা যায়, দেশকে স্বাধীন করতে জীবন বাজি রেখে যারা যুদ্ধ করেছিলেন তাদেরকে জাতির শ্রেষ্ট সন্তান হিসাবে মুল্যায়ন করা হয়। ১৯৪৭ সালে চাতরী ইউনিয়নের জন্মগ্রহণ করেন রায়হান উদ্দিন আহমদ চৌধুরী ঘরে শামসুদ্দিন আহমদ চৌধুরী। ২৪ বছর বয়সে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মাতৃভূমি রক্ষায় মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং সহপাঠিদের সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন অপারেশনে অংশ গ্রহন করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দেন তিনি। স্বাধীনতার সূর্য ছিনিয়ে আনতে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু এতদিন সেই স্বীকৃতি ছিল অধরা। গত ১৫ জুন (বৃহস্পতিবার)বাংলাদেশ গেজেটের ৭৪৬২ নম্বরে চট্টগ্রাম আনোয়ারা উপজেলায় গেজেটের কপি হাতে পেয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুদ্দিন আহমদ চৌধুরী ও তাঁর পরিবার সহ খুশি প্রকাশিত আনোয়ারা উপজেলার ৩১জন বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
স্বাধীনতার ৫২ বছর পর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি গেজেটের কপি হাতে পেয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুদ্দিন আহমদ চৌধুরীর পুত্র চাতরী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন চৌধুরী সোহেল বলেন, যুদ্ধের ৫২ বছর পর আমার আব্বার এই গৌরব-উজ্জ্বল স্বীকৃতিতে আমাদের পরিবারের মুখ উজ্জ্বল হলো। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন তখনই আব্বা টগবগে যুবক ছিলেন এবং করেননি তখনই বিয়েও। জীবণ বাজি রেখে বঙ্গবন্ধুর ডাকে যুদ্ধে গিয়ে ছিলেন বাবা। আজ মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি গেজেটের কপি হাতে পেয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুদ্দিন আহমদ চৌধুরী উপজেলার চাতরী ইউনিয়নের ৫ বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন।বর্তমানে তাঁর পুত্র আফতাব উদ্দিন চৌধুরী সোহেল চাতরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।
আনোয়ারা উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্মান্ডার আবদুল মান্নান বলেন, ‘স্বাধীনতার পর বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতার মসনদে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিরা থাকার কারণে আনোয়ারার অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার নাম বাদ পড়েছিলো। এরমধ্যে আনোয়ারা উপজেলার ৩১জন বীর মুক্তিদ্ধোর নাম প্রকাশিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি ক্ষমতায় আসায় এসবক মুক্তিযোদ্ধাদেরকে নতুন ভাবে স্বীকৃতির সুযোগ করে দেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।