সাদ্দাম হোসেন
রাজনীতি যার যার, অর্থনীতি সবার’ এই মূলমন্ত্র স্মরণে রেখে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। ব্যবসায়ীরা দেশের অর্থনীতির প্রাণ। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে ব্যবসায়ীরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। দেশকে সমৃদ্ধ করতে সকল ভেদাভেদ ভুলে ব্যবসায়ীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। ক্ষুদ্র, মাঝারি, বৃহৎ শিল্পোদ্যোক্তা থেকে শুরু করে দেশের সকল পর্যায়ের ব্যবসায়ীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। রাজনৈতিক সহিংসতা, ভেদাভেদ ভুলে দেশের অর্থনীতিকে সামনের পথে এগিয়ে নিতে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে সামনের পথে এগিয়ে নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত এফবিসিসিআইয়ের বার্ষিক সাধারণ সভায় (২০২২-২০২৩) ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন তিনি।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, দেশের ব্যবসায়ীরা সুষ্ঠুভাবে নিজ নিজ ব্যবসা পরিচালনা করতে চান। দেশের ব্যবসা, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সম্প্রসারণের জন্য ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ খুবই জরুরি। এ সময় দেশের ব্যবসা, বাণিজ্য এবং অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে রাজনৈতিক দলগুলোকে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে অসহিষ্ণু কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি। বর্তমান বিশ্ব ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকটের ফলে বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ইতোমধ্যে পড়তে শুরু করেছে মন্তব্য করে মাহবুবুল আলম বলেন, এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে আমাদের ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাণিজ্য সংক্রান্ত পরিস্থিতি ও নীতিমালা ক্রমশ আধুনিকায়ন করতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ইস্যু যেমন ক্রস বর্ডার ট্রেড ও কানেক্টিভিটি, বিনিয়োগ, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বেসরকারি খাতের সুপারিশ প্রণয়ন, শুল্ক ও কর ব্যবস্থা, অবকাঠামো, সাপ্লাই চেইন ও লজিস্টিক সাপোর্ট, এনার্জি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব, টেকনিক্যাল এবং ভোকেশনাল ও কারিগরি শিক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে বেসরকারি খাতের অবস্থান মতামত এবং সুপারিশমালা নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে তুলে ধরা জরুরি বলেও মন্তব্য করেন এফবিসিসিআই সভাপতি। গত বার্ষিক সাধারণ সভার কার্য বিবরণী, এফবিসিসিআই’র বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২২-২৩, এফবিসিসিআই এর আয়-ব্যয়ের নিরীক্ষা প্রতিবেদন এবং নতুন একটি প্রতিষ্ঠানকে নিরীক্ষক দেওয়ার বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় আগত সাধারণ পরিষদের সদস্যরা বিভিন্ন বিষয়ে তাদের সুচিন্তিত মতামত প্রদান করেন।
সভায় অন্যদের মধ্যে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী, সহ-সভাপতি খায়রুল হুদা চপল, মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, ড. যশোদা জীবন দেবনাথ, শমী কায়সার, রাশেদুল হোসেন চৌধুরী (রনি), মো. মুনির হোসেন, পরিচালকবৃন্দ এবং এফবিসিসিআইয়ের সাধারণ পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।