দেশে মোবাইল নম্বরের গ্রাহক সংখ্যা মার্চের শেষ দিকে এসে প্রায় ১৬ কোটিতে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে ১৩ লাখ ৪২ হাজার গ্রাহক বাড়াতে সক্ষম হয়েছে মোবাইল অপারেটররা।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ১৫ কোটি ৮৪ লাখ গ্রাহক ছিল। মার্চের শেষে এসে সেটা বেড়ে ১৫ কোটি ৯৭ লাখ পৌঁছেছে।
বিটিআরসির কর্মকর্তারা বলেন, যদিও মোট মোবাইল নম্বরের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ১৬ কোটি। তবে ইতিমধ্যে ষোল কোটির বেশি জনসংখ্যার নাগালে মোবাইল সংযোগ পৌঁছে গেছে।
যদিও সত্যিকার মোবাইল নম্বর ব্যবহারকারীর সংখ্যা কম হবে। কারণ এমন বহু লোক আছেন, যারা একাধিক সিম কিংবা সংযোগ ব্যবহার করছেন।
গ্রাহক সংখ্যা সবচেয়ে বেশি পাঁচ লাখ ৮৩ হাজার বেড়েছে গ্রামীণফোনের। দেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী এই অপারেটরটির মূল গ্রাহক আগের মাসে যেখানে সাত কোটি ৩৫ লাখ ছিল, পরের মাসে বেড়ে সেটি সাত কোটি ৪০ লাখ হয়েছে।
দ্বিতীয় বৃহৎ মোবাইল অপারেটর রবির গ্রাহক চার কোটি ৭৪ লাখ। প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক বেড়েছে তিন লাখ ১৬ হাজার। ফেব্রুয়ারিতে যেখানে তাদের গ্রাহক ছিল চার কোটি ৭০ লাখ, পরের মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার কোটি ৭৩ লাখ।
আর বাংলালিংকের গ্রাহক বেড়েছে সাড়ে তিন লাখ। দেশের তৃতীয় বৃহৎ মোবাইল অপারেটরটির আগের মাসে গ্রাহক ছিল তিন কোটি ৪০ লাখ, মার্চে সেটি বেড়ে তিন কোটি ৪৩ লাখ হয়েছে।
একমাত্র রাষ্ট্রীয় মোবাইল কোম্পানি টেলিটকের মোবাইল নম্বর বিক্রি বেড়েছে ৯৩ হাজার। মাসখানেক আগে তাদের গ্রাহক ছিল ৩৯ লাখ ২১ হাজার। মার্চে সেই সংখ্যাটি বেড়ে ৪০ লাখ ১৪ হাজার হয়েছে।
এছাড়াও গত মার্চে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে ১১ লাখ। এখন ৯ কোটি ৩১ লাখ লোকের কাছে ইন্টারনেট পৌঁছে গেছে। মোবাইল ফোনভিত্তিক সংযোগের বদৌলতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা আট কোটি ৭৩ লাখ।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ওয়াইম্যাক্সের ৬১ হাজার, আইএসপি ও পিএসটিএনের ৫৭ লাখ ৩১ হাজার সংযোগ রয়েছে।