যাত্রী পরিবহন ব্যবসার আড়ালে মোহনা ও উপকূলীয় অঞ্চল থেকে আহরিত নিষিদ্ধ ঘোষিত চিংড়ি পোনা পরিবহন করে আসছে কতিপয় বাস মালিক ও বাস চালক। এগুলো পেট্রোল পাম্পে আগে থেকেই এনে রাখা হয় এবং সেখানে ফুয়েল নেওয়ার কথা বলে এগুলো ওঠানো হয়।
যাত্রী পরিবহন মুখ্য না, চিংড়ি পোনা পরিবহনই মুখ্য বিষয়। কিছু ক্ষেত্রে নিজেদের লোকজনকেই যাত্রী সাজিয়ে সীটে বসিয়ে রাখে। ড্রাম ও পাতিলগুলো ছাদে ও বক্সে বহন করে। ফলে সাধারণভাবে বিষয়টি বুঝা যায় না। প্রতিটি ড্রাম কিংবা পাতিলে বিক্রয়কারীর নাম/নম্বর/ সংকেত থাকে, যা যিনি ক্রয়কারী তিনি বুঝতে পারেন।
এ ধরনের অপকর্ম মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন, ১৯৫০ অনুযায়ী দন্ডযোগ্য অপরাধ।
০১ আগস্ট ২০১৯ খ্রি. রাত আনুমানিক ১০:০০ টা নাগাদ সীতাকুণ্ড উপজেলার বট্টল পেট্রোল পাম্প, পন্থিছিলা থেকে ধৃত চট্টগ্রাম - খুলনা গামী"বেপারী" পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটি ২৯ টি ড্রাম ও পাতিলে প্রায় তিন লক্ষ (৩০০০০০) চিংড়ি পোনাসহ আটক করা হয় (যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৬০০০০০/- (ছয় লক্ষ টাকা)। এর মধ্যে ৭০০০০ গলদা চিংড়ি পোনা মিঠা পানিতে এবং বাকি ২৩০০০০ বাগদা চিংড়ি পোনা সমুদ্র উপকূলে অবমুক্ত করা হয়। মোহনা ও উপকূলীয় অঞ্চল থেকে আহরিত নিষিদ্ধ ঘোষিত চিংড়ি পোনা পরিবহনের দায়ে বাস চালককে (আবুল বসর (৪৫), ঠিকানা: মোল্লার হাট, বাগেরহাট) ৫০০০/- (পাঁচ হাজার টাকা) অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। চিংড়ি পোনা অবমুক্ত শেষে ড্রাম ও পাতিলসমূহ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, সীতাকুণ্ড এর জিম্মায় দেওয়া হয়।
ধন্যবাদ জনাব শামীম আহমদ, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, সীতাকুণ্ডকে তাঁর কর্তব্যনিষ্ঠা ও কর্মতৎপরতার জন্য।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর পোস্ট হতে সংগৃহী।