তৃনমূলরা মৃত্যুর দুয়ারে, দেখার কি কেউ নেই? শামীম ওসমান
শামীম ওসমান

মৃত্যুর দূয়ারে তৃণমূল ।
দেখার কি কেউ নেই...?
কবির শাহ্ দুলাল  

কতিপয় নেতা এবং কোন কোন জনপ্রতিনিধির পরিবার পরিজন এবং হাইব্রীডদের হাতে আজ তৃণমূল জিম্মি। তাদের আত্নীয়-পরিজন আর তেলবাজদের চলছে রামরাজত্ব। কোনো কোনো এলাকায় মূল দলের উপজেলা/থানা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে কেবল হাতে গোণা কয়েকজন দলীয় সামান্য সুযোগ-সুবিধা পায়। বাকীদের অবস্থা চরম হতাশাজনক।

আদর্শবান ও ত্যাগী নেতাকর্মীরা আজ বঞ্চিত, উপেক্ষিত এবং দিশেহারা। বিরোধী দল এখন আর কোন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ না। নিজ দলীয় প্রকৃত নেতাকর্মীরাই এখন আসল প্রতিপক্ষ। এদেরকে কূটকৌশলে এবং গৃহবিবাদে ফেলে রাজনীতি থেকে মাইনাস করা হচ্ছে। ফলে পদধারীরাসহ দীর্ঘদিনের পরিক্ষিত ও ত্যাগী নেতাকর্মীরাও দলীয় কর্মকান্ড থেকে একেবারে নিষ্ক্রীয় হয়ে পড়েছে। ছাত্রলীগ যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ সকল অংগ সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীদের অবস্থা আরো করুণ। হাইব্রীড, আত্মীয়লীগ এবং হঠাৎ লীগসহ সরকার বিরোধীরা তেলপানির বিনিময়ে কেড়ে নিচ্ছে সরকারী চাকরী, প্রশাসনিক পদায়ন, দলীয় পদবী এবং ব্যবসা বাণিজ্যসহ যাবতীয় সুযোগ সুবিধার বড় অংশ। নেত্রীর সদিচ্ছার পড়েও আওয়ামী পরিবারের সদস্য ও ছাত্রলীগের যোগ্য প্রার্থীদের অনেকেই আজ চাকুরীসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত। অনেক এলাকাতে প্রশাসন সিনিয়র দলীয় নেতৃবৃন্দকেও পাত্তা দেয়না; উল্টো অপমান অপদস্থ করে। দল পরপর তিনবার ক্ষমতায় থাকার পরেও তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আজ ভিষণ অসহায় এবং মূল্যহীন। বিভিন্ন এলাকায় নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষুব্দতা।

আগামী প্রজন্মের উপযোগী একটি সুখী সুন্দর উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে জীবন বাজী রেখে দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকণ্যা শেখ হাসিনা। শত বাঁধা-বিপত্তি সত্বেও তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্ব এবং ইষ্পাত কঠিন দৃঢ়তায় সারা দেশের প্রতিটি সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে। দেশের গরীব ও সাধারণ মানুষসহ সকলে এর সুফল ভোগ করছেন। অথচ তৃণমূলের কিছু নেতা ও জনপ্রতিনিধির বিতর্কিত/নেতিবাচক কর্মকান্ডে দল দিন দিন সাংগঠনিক শক্তি হারাচ্ছে এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। এছাড়া, গৃহবিবাদ চরম আকার ধারণ করেছে। এ কারণে, সরকারের সফলতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।

ভেবেছিলাম এটা নিয়ে কেউ না কেউ লিখবে; কিন্ত তেমনটি এখনো চোখে পড়েনি। তাই বিবেকের তাড়ণায় বাধ্য হয়েই এ লিখা। কেননা, দুর্দিনে (খোদা না করুন) ভুলের খেসারত প্রত্যেকটা নেতাকর্মীকেই দিতে হবে। আমিও হয়তো ক্ষমা পাবো না। তৃণমূলের সুখ আমাকে উজ্জীবিত করে; আর তাদের কষ্ট, আমার ব্যথা বাড়িয়ে দেয়। 

আগামী প্রজন্মের উপযোগী একটি সুখী সুন্দর উন্নত 
কাজেই এভাবে আর চলতে পারে না। তৃণমূল বাঁচাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া উচিত। আরো করুণ পরিণতি দেখার আগেই জেগে উঠো মুজিব সেনা।

হে আল্লাহ আমার মায়ের মতোই নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সকল সমস্যা সমাধান করার তৌফিক দিন