শোকের মাসে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করলে হবে না, পুরো বছরই শ্রদ্ধাভরে দেখা উচিৎ -আব্দুচ ছালাম
সদ্য বিদায়ী সিডিএ চেয়ারম্যান আব্দুচ ছালাম।

নুরুল কবির দুলাল।     

শোকের মাসে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করলে হবে না,পুরো বছরই সম্মাণ জানানো উচি। । আজ আমরা স্বাধীন বাংলার নাগরিক -এম এ ছালাম।       

শোকের মাসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সিডিএ’র সদ্য সাবেক চেয়াম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আলহাজ্ব আবদুচ ছালাম বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর মতো একজন বিশ্ব নেতার জন্ম না হলে আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেতাম না। আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মপরিচয়ের সুযোগ পেতাম না। বাঙালি জাতির নির্দিষ্ট মানচিত্রও তৈরি হতো না। তাই বঙ্গবন্ধু, বাঙালি এবং বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন।

তিনি আরো বলেন, ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিল। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। কারণ বঙ্গবন্ধু অক্ষয়। কোন অবস্থাতেই তাঁর নাম মুছে ফেলা যাবে না। ইতিহাস থেকে তাঁকে কখনো বিচ্ছিন্ন করা যাবে না। স্লোগান নিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগ নেতা আবদুচ ছালাম এসব কথা বলেন।

আবদুচ ছালাম বলেন, ১৫ আগস্টের শোককে আমরা শক্তিতে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলব। সারাদেশে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যত উন্নয়ন হয়েছে তা এখন সবার সামনে দৃশ্যমান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং উন্নয়নের রোলমডেল হিসেবে ইতোমধ্যে বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে সব সূচকে অগ্রগতি, সাফল্য আর উন্নয়নে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুত্তি, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীসহ বিভিন্ন খাতের উন্নয়ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ এখন শুধু উন্নয়নের রোল মডেলই নয়, একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবেও প্রশংসিত। আর এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়চেতা ও সাহসী নেতৃত্বের কারণে।

 

ইতিহাসের পাতা থেকে বঙ্গবন্ধুর নামকোনদিনই মুছে ফেলা যাবে না- আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনককে সপরিবারে হত্যার পর ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল। ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিল। কিন্তু তারপরও মানুষের হৃদয়ে বঙ্গবন্ধুর যে আসন সেটি বিন্দুমাত্র শূন্য হয়নি। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস যারা এই ঘৃণিত কাজে লিপ্ত ছিল তারা আজ ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে দেখতে চেয়েছিলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।