চট্টগ্রাম আনোয়ারায় জরিফ খাঁ জামে মসজিদের মোতওয়াল্লী মিজানুর রহমানের উপর অতর্কীত হামলা অভিযোগ।
-

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
আনোয়ারায় জরিফ খাঁ জামে মসজিদের মোতওয়াল্লী মোঃ মিজানুর রহমানের উপর অতর্কীত হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

২৭শে আগষ্ট দুপুরে হাজীগাঁও জরিফ খাঁ জামে মসজিদের পার্শ্বে এ ঘটনা ঘটে।

পূর্বের একটি অভিযোগ শুনানির তদন্তে আনোয়ারা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানভীর হাসান চৌধুরী মহোদয় সরেজমিনে গেলে তিনি চলে আসার পর এ হামলার সৃষ্টি হয়।
তার আত্বচিৎকারে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে সেখানে এ অসাধু ব্যাক্তিগণ তার চিকিৎসার কাজে বাধা সৃষ্টি করে। পরে জাতীয় সেবা নাম্বার ৯৯৯ কল দেওয়ার প্রেক্ষিতে স্থানীয় থানার অফিসার ইনচার্জ দুলাল মাহমুদ সাহেবের নেতৃত্বে এ এস আই হাফিজ সাহেব ঘটনা স্থলে গিয়ে না পেয়ে পরে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে ভূক্তভোগীর সাথে দেখা করে থানায় একটি অভিযোগ করার জন্য আশ্বাস প্রদান করেন। পরে আহত মিজানুর রহমানকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারবর্গ।
জানা যায় আনোয়ারা থানাধীন ৬নং বারখাইন ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড হাজীগাঁও জরিপ খাঁ জামে মসজিদ যার ওয়াকফ এস্টেট (ইসি নং-২২০৫০) এ বিষয়ে মোতওয়াল্লী মোঃ মিজানুর রহমানের সাথে স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যাক্তির দির্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। মোতওয়াল্লী মোঃ মিজানুর রহমান তাদের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর তারিখে ওয়াকফ প্রশাসক বাংলাদেশ ওয়াকফ ভবন ৪ নিউ ইস্কাটন রোড ঢাকা বরাবরে মোজাহের হকের ছেলে মোঃ জাফর আহমেদ, আবুল খায়েরের ছেলে হাজী আবুল বাশার, খুইল্লা মিয়ার ছেলে বেলায়েত হোসেন, জাকির আহমেদ, আহমেদ শরীফের ছেলে খোরশেদ জাহান টিপু, রহমান আলীর ছেলে বাবু মিয়া মোট ৬জন অসাধু ব্যাক্তির নাম উল্যেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।  

এই বিষয় সরেজমিনে জানতে চাইলে মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, মসজিদ হচ্ছে আল্লাহর ঘর। ওয়াক্ফ এস্টেটের সুষ্ঠু পরিচালনার স্বার্থে আমাকে জরিপ খাঁ জামে মসজিদ এর মোতওয়ালী নিয়োগ করা হয়। মোতওয়ালী নিয়োগ হওয়ার পর আমি এস্টেটের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করা অবস্থায় এলাকার কিছু বহিরাগত লোকসহ জনতাবদ্ধে সংগঠিত হইয়া মসজিদ পুকুরে ১,৫০,০০০/-(এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকার মাছ এবং গাছপালা ও পুকুরের পাড়ের ক্ষেতসহ ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকার বিভিন্ন শাক সবজি ও ফলমূল জোরপূর্বক বিক্রি করে ফেলে এবং ৩৭ শতক মসজিদের নামে নাল ধানের জমি ধানসহ দখল করে ফেলে বিবাদীরা। এবং আমার পরিবারের লোকজনকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন। আমার সাাহায্যকারীকেও মেরে ফেলার হুমকি দেন। আমার পরিবারের কেহই মৃত্যুবরণ করলে কবরস্থানে কবর না দেওয়ার জন্য মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেন জাফর। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যুগ যুগ ধরে আমার মৌরশী ওয়াক্ফ করা মসজিদের যাবতীয় খরচ ইমামের বেতন সহ আমার পিতার পরবর্তীতে আমি এই মসজিদ পরিচালনা করে আসতেছি। সকল বিবাদীগণ বিভিন্ন উপায়ে আমাকে প্রতিনিয়ত ঘায়েল করিয়া ওয়াক্ফ উক্ত মসজিদের টাকা, পয়সা, সহায় সম্পত্তির আত্মসাৎ এবং ভোগ দখলের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। তাই আমি ওয়াক্ফ এস্টেটভুক্ত মসজিদটি বিবাদীদের অশুভ হাত থেকে রক্ষা করে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় আইনগত সহায়তা প্রদানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মহোদয় কাছে আকুল আবেদন করেছি।