অনলাইন ডেস্কঃ
একে তো করোনার আতঙ্ক, তার মধ্যে মৌসুম বদল। এতে করে খুব সহজেই মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
এজন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কেউ কেউ মুঠো মুঠো ভিটামিন ট্যাবলেট খাচ্ছে। তবে একটু খেয়াল করলেই দেখা যায় রান্নাঘরে হাতের কাছেই এমন অনেক উপাদান রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করতে পারে।
কাঁচা মরিচ অ্যান্টি অক্সিড্যান্টে ভরপুর।
সেই সাথে ভিটামিনও রয়েছে। শুধুমাত্র কাচা মরিচ খেয়ে রোগ প্রতিরোধ কিছুটা বাড়ানো যায়। এছাড়া কাঁচা মরিচ থেকে ভিটামিন সিও পাওয়া যা্বে পুরোপুরি। দিনে চারটা কাঁচা মরিচ খাওয়া যায় অনায়াসে। রান্নাতেও ব্যবহার করা যায়। তবে অতিরিক্ত নয়।
লঙ্কায় থাকা ক্যাপাসাইচিন পৌষ্টিকতন্ত্রের যত্ন নেয়। মিউকাস মেমব্রেনে রক্তপ্রবাহের গতি বাড়িয়ে দিয়ে মিউকাসের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে। অর্থাৎ কাঁচা মরিচ খেলে সর্দিকাশির সমস্যা কিছুটা কমে। একই সঙ্গে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক থাকে। ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণ করতেও এর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা আছে।
অনেকের ধারণা, কাঁচা মরিচ পেকে গেলে তার গুণ কমে যায়। এটা ভুল। সবুজ কাঁচা মরিচে থাকা ক্যাপসনন্থিন এবং সামান্য পেকে যাওয়া মরিচে থাকা ভায়োল্যাকসন্থিন অত্যন্ত শক্তিশালী ক্যারোটিনয়েড। ক্যানসার প্রতিরোধ করতে কাজে লাগে এই দুই যৌগ।
কাঁচা মরিচের গুণাগুণ:
১. কাঁচা মরিচে থাকা ফেরুলিক এসিড ও সিনাপিক এসিড যেকোন ক্রনিক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
২. কাঁচা মরিচে থাকা লুটিন চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৩. কাঁচা মরিচে ভিটামিন কে থাকে যা হাড় ক্ষয়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমায়।
৪. কাঁচা মরিচে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে যা ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৫. কাঁচা মরিচ হৃদরোগ ও মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি কমায় ।