হাটহাজারী প্রতিনিধি । ।
মায়ের সাথে বাড়ি যেতে চাওয়ায় শিশু শিক্ষার্থীকে বেদম মারধরের ঘটনায় মো. ইয়াহিয়া নামে হাটহাজারীর এক হেফজখানার শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার বিকালে রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা ইউনিয়নের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, শিশু নির্যাতনকারী শিক্ষক ইয়াহিয়াকে রাঙ্গুনিয়া থেকে গ্রেপ্তার করে হাটহাজারীতে নিয়ে আসা হয়েছে।
থানার ডিউটি অফিসার মো. হারুনুর রশিদ জানান, শিশু শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শিশুটির বাবা মোহাম্মদ জয়নাল বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় শিক্ষককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার হাটহাজারী পৌরসভার পশু হাসপাতাল সড়কে মারকাজুর কুরআন একাডেমির হিফজ বিভাগের আবাসিক শিক্ষার্থী ইয়াসিন ফরহাদকে (৮) দেখতে আসেন তার মা। পরে মা চলে যাওয়ার সময় শিশুটি মায়ের পিছু নেয়। তা দেখে শিক্ষক ইয়াহিয়া তাকে ঘাড় ধরে মাদ্রাসার একটি কক্ষে নিয়ে বেদম মারধর করেন। পরে শিশুটিকে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে গভীর রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমীন শিশুটিকে ওই মাদ্রাসা থেকে উদ্ধার করেন এবং শিক্ষক ইয়াহিয়াকে ধরে আনেন। কিন্তু শিশুটির পরিবার কোনো অভিযোগ না করায় গতকাল বুধবার সকালে ওই শিক্ষককে ছেড়ে দেওয়া হয়। এছাড়া আহত শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তাহমিনা সাবেরা চৌধুরী।
মন্ত্রণালয়ে হেফজখানার তালিকা প্রেরণের নির্দেশ : এদিকে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর মন্ত্রণালয়ে হেফজখানার তালিকা পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর প্রেরিত এক পত্রে এ নির্দেশনা প্রদান করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার ১০টার মধ্যে উপজেলার আওতাধীন বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠিত হেফজখানার তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে তালিকা পাঠানোর জন্য গতকাল বুধবার থেকে ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সচিব মাদ্রাসার তালিকা সংগ্রহের কাজ করছেন বলে জানান গুমানমর্দ্দন ইউপি সচিব আবু তৈয়ব। তিনি তালিকা তৈরি করে ইউএনওর দপ্তরে পাঠানো হবে বলেও উল্লেখ করেন।