অপপ্রচারের প্রতিবাদে সীতাকুণ্ড উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন
অপপ্রচারের প্রতিবাদে সীতাকুণ্ড উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি। ।

অসহায়, অভিভাবকহীন, নির্যাতিতা ও মজলুম ষাটোর্ধ বৃদ্ধাকে আশ্রয় ও মানবিক সহযোগিতা দেওয়ায় ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা, বানোয়াট অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে সীতাকুণ্ড উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জয়নব বিবি জলি ।

১৭ মার্চ বুধবার দুপুর ২ টায় সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে জয়নব বিবি জলি অপপ্রচারের তীব্র প্রতিবাদ ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এসময় তিনি বলেন, মানহানি করার চেষ্টা করার উদ্দেশ্য আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটনো হচ্ছে। মূলত রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে এ ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। একজন নির্যাতিতা নারীর পক্ষে লড়তে গিয়ে আমি হয়রানির শিকার হচ্ছি। কতিপয় ব্যক্তি এই অসৎ পরিবারের ঘটনাকে ট্রাম্প কার্ড হিসেবে ব্যবহার করে আমার সম্মানহানি করতে ওঠে পড়ে লেগেছে।

সংবাদ সম্মেলনে জয়নব বিবি জলি এর সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে সলিমপুরের স্থায়ী বাসিন্দা রিটু আক্তার, হোসেন বানু, আয়শা আক্তার, খালেদা বেগম, শানু আক্তার, মনোয়ারা বেগম, রিজিয়া বেগম, রাবেয়া বেগম, শেখ হাসিনা, আকলিমা আক্তার, নুর জাহান, লিমা আক্তার বলেন, নজির আহম্মদ এর মেয়ে শায়রা খাতুন একজন স্বামী-সন্তান হারা বৃদ্ধ মহিলা। বর্তমানে সে অভিভাবকহীন।

দীর্ঘ দিন তার ভাই মাহবুল আলম (গনু মিয়া) এর স্ত্রী সোনোয়ারা বেগম ও তার ছেলেমেয়ে যথাক্রমে সাদিয়া, মুন্নি, মামুৃন এর দ্বারা গৃহবাড়িতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে। পারিবারিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ায় আমরা শায়রা বেগমকে ভাতে-কাপড়ে সাহায্য করতাম। ভাইস চেয়ারম্যান জয়নব বিবি জলিও তাকে সাহায্য সহযোগিতা করে আসছে। তারা ফুফুর সম্পত্তি আত্মসাৎ করার চেষ্টা করলে জয়নব বিবি জলি বাঁধা দেয়। আর এতেই তারা জলি'র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের মেতে ওঠে। এলাকাবাসীর দেওয়া তথ্যের সত্যতা মিলেছে ভুক্তভোগী বৃদ্ধা শায়রা বেগম এর নিজ মুখেই।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী বৃদ্ধ শায়রা বেগম উপস্থিত হয়ে বলেন আমি আমার ভাইয়ের স্ত্রী ও সন্তানের অত্যাচারের শিকার। তারা আমাকে সবসময় মারে, যেকোন সময় গায়ে হাত তোলে, ভাত দেয় না, কাপড় দেয় না। আমি গোসল করতে গেলে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়, মসকারি করে, পানি মেরে ভিজিয়ে দেয় এবং বলে গোসল হয়ে গেছে যা চলে যা। এসময় শায়রা বেগম কান্নায় ভেঙে পড়েন, ঘোঙ্গিয়ে ঘোঙ্গিয়ে বলতে থাকেন, আমার পৈতৃক সম্পত্তি আমাকে দিচ্ছে না তারা, আমি বঞ্চনার শিকার।

এসময় শায়রা বেগম আরো বলেন, আমি এক বড় লোক ডাক্তারের বাসায় যখন কাজ করতাম সাহেব আমাকে ১ লক্ষ ৬০ টাকা উপহার দেয়। তারা আমার থেকে টাকাগুলো নিয়ে ফেলে, যা আমাকে আর ফেরত দেওয়া হয়নি।

ঘটনার বিষয়ে সালাদার পাড়া জামে মসজিদের সভাপতি মো. শাহজাহান বলেন, একজন অসহায় মহিলাকে সাহায্য করায় জয়নব বিবি জলি'কে ফাঁসানো হচ্ছে যা জঘন্য মিথ্যাচার। ১০ সলিমপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর আলমাস খাতুন বলেন, তাদের বিরোধ মিমাংসা করতে গেলে সোনোয়ারা, সাদিয়া, মুন্নি আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। জনপ্রতিনিধি হওয়ার পরও আমাদেরকে অপমান সহ্য করতে হয়েছে।

এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফৌজদার হাট পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন। ঘটনার বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ এখনো বলতে পারছি না