অনলাইন ডেস্কঃ
পটুয়াখালীর বাউফলে প্রেমের সালিশ করতে গিয়ে কিশোরী মেয়েকে দেখে পছন্দ হওয়ার পর বিয়ে করা ৬০ বছর বয়সী সেই চেয়ারম্যানকে তালাক দিল কিশোরী নসিমন বেগম। শনিবার সন্ধ্যায় তালাক সম্পন্ন হয় বলে মেয়ের বাবা নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন। তিনি জানান, মেয়ে এখন আমার বাড়িতেই আছে।
এর আগে গত শুক্রবার দুপুরে কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে ওই কিশোরীকে বিয়ে করেছিলেন।
জানা যায়, কনকদিয়া ইউনিয়নের নজরুল ইসলামের মেয়ে নসিমনের সঙ্গে একই ইউনিয়নের নারায়ণপাশা গ্রামের রমজান নামে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত বৃহস্পতিবার রাতে তারা দুজন পালিয়ে যায়। বিষয়টি কিশোরীর বাবা কনকদিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারকে জানান। এরপরে চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে শুক্রবার কনকদিয়া ইউপি কার্যালয়ে ছেলে ও মেয়ের পরিবারকে যেতে বলেন।
সেই অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে দুই পরিবারের সদস্যরা ইউপি কার্যালয়ে যান। সেখানে মেয়েটিকে দেখে পছন্দ হয়ে যায় চেয়ারম্যানের। তিনি মেয়েটিকে বিয়ে করার আগ্রহ দেখান।
শুক্রবার দুপর ১টায় স্থানীয় কাজী মো. আবু সাদেককে বাড়িতে ডেকে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে ওই কিশোরীকে বিয়ে করেন চেয়ারম্যান।
এদিকে এই বিয়ের পর তা জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়। শনিবার ওই একই কাজীর মাধ্যমেই তালাক সম্পন্ন হয়।
ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার জানান, ওই মেয়ে তাকে স্বামী হিসেবে মেনে না নেওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মেয়েটিকে তার বাবার সঙ্গে তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।