নিউজ ডেস্ক । ।
চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে ফৌজদারহাটে অবস্থিত বিআইটিআইডি হাসপাতালে প্রদানকৃত আইসিইউ এখনো চালু করা যায়নি। জেনারেটর না থাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিত করতে না পারায় আইসিইউ চালু করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দেশে করোনা মহামারী ছড়িয়ে পড়ার পর সীতাকুন্ডের ফৌজদারহাটে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রফিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে করোনা ইউনিট স্থাপন করে রোগীর চিকিৎসা ও কোভিডের নমুনা টেস্ট শুরু হয়। সেই থেকে এখানে ৩২টি শয্যায় করোনা চিকিৎসা দেওয়া হলেও শুরু থেকে এখানে কোন আইসিইউ ইউনিট ছিল না। এছাড়া অক্সিজেন সংকট, স্বাস্থ্যকর্মী, টেকনিশিয়ানসহ জনবল সংকট তো ছিলোই। তারপরও এখানে চিকিৎসকরা নিজেদের সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে চিকিৎসা সেবা দিয়ে সুনাম কুড়িয়েছেন। একই সাথে সীতাকু- ও চট্টগ্রামের হাজার হাজার নমুনা সংগ্রহ করে রিপোর্ট দিয়েছেন।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আবারো দেশে করোনা মহামারীর প্রকোপ আশংকাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি হাসপাতালের ৩২ শয্যা করোনা ইউনিটকে ৫০ শয্যা করোনা ইউনিটে রূপান্তর করে এবং আইসিইউ ইউনিট স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। এরই মধ্যে আইসিইউ’র শয্যাসহ যন্ত্রপাতি এ হাসপাতালে পাঠিয়েও দেওয়া হয়েছে। আইসিইউ শয্যা পরিচালনার জন্য নতুন করে চিকিৎসা কর্মকর্তা, কনসালটেন্ট, আবেদনবিদ ও নার্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
হাসপাতালের করোনা ইউনিটের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মামুনুর রশিদ বলেন, আমরা এখানে করোনার একেবারে শুরু থেকেই রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছি, নমুনা পরীক্ষা করে সেবা দিচ্ছি। এখন করোনা মহামারী বেশি ছড়িয়ে পড়ায় আইসিইউ শয্যা স্থাপনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আইসিইউ’র যন্ত্রগুলো নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ছাড়া অকার্যকর। তাই বিদেশ থেকে জেনারেটর আনা হচ্ছে। এসব জেনারেটর না আসা পর্যন্ত আইসিইউগুলো চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আশা করছেন আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে জেনারেটরগুলো এসে পৌঁছাবে।
মেজবাহ খালেদ / এন ই / সি আই ডি ;