অনলাইন ডেস্কঃ
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পর্যায়ক্রমে ঈদুল আজহার পাঁচ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২১ জুলাই) সকাল ৭টা, ৮টা, ৯টা, ১০টা ও ১০টা ৪৫ মিনিটে এসব জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথম জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের জ্যেষ্ঠ পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির ছিলেন বায়তুল মুকাররমের মুয়াজ্জিন মো. আতাউর রহমান।
জামাতের আগে খুতবা ও বয়ানে কোরবানির তাৎপর্য তুলে ধরা হয়। নামাজ শেষে করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি, দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় মোনাজাত করেন ইমাম।
দ্বিতীয় জামাত হয় সকাল ৮টায়। এতে ইমাম ছিলেন বায়তুল মোকারমের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিব্বুল্লাহিল বাকী নদভী। মুকাব্বির ছিলেন মুয়াজ্জিন হাফেজ ক্বারী কাজী মাসুদুর রহমান।
সকাল ৯টায় হয় ঈদের তৃতীয় জামাত। পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক এই জামাতে ইমামতি করেন, মুকাব্বির ছিলেন হাফেজ ক্বারী হাবিবুর রহমান মেশকাত।
চতুর্থ জামাতে ইমামতি করেন পেশ ইমাম মাওলানা মহিউদ্দীন কাসেম, মোকাব্বির হন মুয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক। এই জামাতটি সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়।
পঞ্চম ও শেষ জামাত হয় সকাল সাড়ে ১০টা ৪৫ মিনিটে। এতে ইমামতি করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা ওয়ালিয়ূর রহমান খান। মুকাব্বির ছিলেন বায়তুল মোকাররমের প্রধান খাদেম মো. শহীদুল্লাহ।
চলমান করোনা পরিস্থিতিতে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গত ১২ জুলাই জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ করে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
ঈদের নামাজ শেষে তাঁরা মহান আল্লাহর দরবারে প্রয়াত পিতা-মাতা ও স্বজনদের রুহের মাগফিরাত কামনার জন্য বিভিন্ন গোরস্থানে যান এবং কবর জিয়ারত করেন।
ঈদের জামাত থেকে নিজ নিজ এলাকায় ফিরে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের আশায় হজরত ইব্রাহিমের (আ.) ত্যাগের দৃষ্টান্ত স্মরণ করে সাধ্যমত পশু কোরবানি করছেন মুসল্লিরা।