চট্টগ্রামের রাস্তা ফাঁকা, মাঠে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ
চট্টগ্রামে কঠোরভাবে পালন করা হচ্ছে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ। বিধিনিষেধ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে মাঠে কাজ করছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। নগরীর বেশিরভাগ রাস্তাঘাট ফাঁকা দেখা গেছে।
শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল থেকে বৃষ্টির মধ্যেই সেনাবাহিনীকে নগরীর সিটি গেট ও মইজ্জারটেক এলাকায় দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চট্টগ্রাম নগরীতে দায়িত্ব পালন করছেন।
শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর এনায়েত বাজার, লাভলেইন, কাজীর দেউড়ী, নিউ মার্কেট, ফিরিঙ্গিবাজার ও নতুন ব্রিজ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে দোকানপাট বন্ধ। তবে মূল সড়কে স্বল্প সংখ্যক রিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর প্রবেশপথ সিটি গেট ও নতুন ব্রিজ এলাকায় সরকারি বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে কাজ করছে সেনাবাহিনী। এছাড়া চট্টগ্রাম নগরীতেও সেনাবাহিনী টহল দিতে দেখা গেছে। জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া মানুষকে পায়ে হেঁটে চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে বেশিরভাগ রাস্তাঘাট ফাঁকা দেখা গেছে।
সকাল দশটা থেকে ১১টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরীর মইজ্জারটেক এলাকায় সেনাবাহিনীর চেকপোস্টে সরেজমিনে দেখা গেছে, বিনা প্রয়োজনে কাউকে নগরীতে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল এমনকি রিকশার যাত্রীদেরও জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়েছে। জরুরি সেবার বাইরে যারা বের হচ্ছেন তাদের মইজ্জারটেক থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তেমনি একজন আশিকুর রহমান। ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বের হয়েছিলেন আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে যাওয়ার জন্য। সেখান থেকেই তাকে ফেরত পাঠানো হয়। ফরিদ আহমদ নামের আরেকজন গাড়ি নিয়ে বের হয়েছিলেন গরুর ফার্মে যাওয়ার জন্য। তাকেও পটিয়ার দিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবে যারা যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখাতে পারছেন তাদেরকে যেতে দেওয়া হচ্ছে।
চেকপোস্টের দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন মো. সোয়েব রুমী বলেন, অন্যান্য লকডাউনের তুলনায় মানুষ বিধিনিষেধ বেশি মানছেন বলে মনে হচ্ছে। এরপরও আমরা সব গাড়ি তল্লাশি করছি। বিনা প্রয়োজনে কেউ বের হলে তাকে ফেরত পাঠাচ্ছি।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামনুন আহমেদ অনিক বলেন, বিনা প্রয়োজনে কাউকেই চট্টগ্রাম নগরীতে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে মানুষ বিভিন্ন অজুহাতে বের হওয়ার চেষ্টা করছে। প্রথমদিন হওয়াতে এখনও কাউকে জরিমানা করা হয়নি। সরকারি বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে দুই শিফটে ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চট্টগ্রাম নগরীতে দায়িত্ব পালন করবেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথ বলেন, সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে সকাল থেকে পুলিশ সদস্যরা মাঠে কাজ করছেন। চট্টগ্রাম নগরীতে মোট ২০টি স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। গাড়ি চেক করে দেখা হচ্ছে। যারা জরুরি প্রয়োজন কাজে বের হয়েছেন তাদের চলতে দেওয়া হচ্ছে। আর বিনা কারণে বের হলে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
মেজবাহ খালেদ / এন ই / সিআইডি ;