সীতকুণ্ডের সলিমপুরে বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ , ৭ দিনের মধ্যে দখলদারদের সরে যাওয়ার নির্দেশ
সীতকুণ্ডের সলিমপুরে বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ , ৭ দিনের মধ্যে দখলদারদের সরে যাওয়ার নির্দেশ

মেজবাহ খালেদ । ।

মুক্তিযুদ্ধের পর অনেক বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু বধ্যভূমি ও রক্তস্নাত সম্মুখযুদ্ধ স্থান সংরক্ষণ না হওয়ায় এগুলো ইতিমধ্যে বেদখল হয়ে হারিয়ে গেছে । তেমনি একটি সীতকুণ্ডের সলিমপুরে কালুশাহ নগরের অবস্থিত বধ্যভূমি । স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকে দীর্ঘদিন অযত্ন ,অবহেলায় পড়ে আছে এই বধ্যভূমি। আশেপাশে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা । বধ্যভূমির জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছে প্রভাবশালীরা।

অবশেষে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ ইতিহাসের দায় থেকেই মুক্তিযুদ্ধের এই দখল হয়ে যাওয়া বধ্যভূমি সংরক্ষণে এগিয়ে এসেছে। সীতকুণ্ডের সলিমপুরের কালুশাহ নগরে ১৯৭১ সালের সম্মুখযুদ্ধে পাক বাহিনীর হাতে নিহত মুক্তিযোদ্ধাদের সমাহিত বধ্যভূমিতে স্মৃতিচিহ্ন নির্মাণ করতে যাচ্ছে।

প্রাথমিকভাবে এটি সংস্কারের জন্য জেলা পরিষদ পিইসি প্রকল্প হিসাবে ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। কিন্তু বধ্যভূমির আশেপাশে কিছু ব্যবসায়ী দখল করে রাখায় প্রকল্প কাজ ব্যাহত হচ্ছে। সোমবার বিকালে সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন ও জেলা পরিষদ সদস্য আ ম ম দিলসাদ বধ্যভূমিটি পরিদর্শন করেন।

এসময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন আজিজ, সলিমপুর আওয়ামীলীগ সভাপতি কাজী গোলাম মহিউদ্দিন, সাধারন সম্পাদক ফজলুল করিম চৌধুরী নিউটন, আওয়ামীলীগ নেতা আসলাম হাবিব, বাবুল খান, ৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার শাহদাত হোসেন, সাইদুর রহমান মারুফ ও বিভিন্ন স্থরের গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন ।

পরিদর্শনকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন আগামী ৭দিনের মধ্যে অবৈধ দখলদারদের বধ্যভূমি সন্নিহিত স্থান থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন ।

এসময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণে ব্যবস্থা নেয়ায় চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম ও সদস্য আ ম ম দিলসাদকে ধন্যবাদ জানান।

মেজবাহ খালেদ /এন ই / সি আই ডি ;