মেজবাহ খালেদ । ।
নামে-বেনামে সীতাকুণ্ডে গড়ে উঠেছে প্রায় ১০০টি করাতকল। এর মধ্যে মাত্র ১৬ টির লাইসেন্স থাকলেও বাকিগুলোর নেই কোনো অনুমোদন। অন্যদিকে বনাঞ্চলে অবৈধ করাতকলের ছড়াছড়ির কারণে স্থানীয় অসাধু চক্রের কবলে প্রতিনিয়ত উজাড় হচ্ছে বন।
অবশেষে সীতাকুণ্ডে করাত কল (লাইসেন্স) বিধিমালা ২০১২ উপেক্ষা করে অবৈধভাবে স্থাপিত বিভিন্ন করাত কলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেছে সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার সকালে এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহাদাত হোসেন। এসময় লাইসেন্স না থাকায় ও লাইসেন্স নবায়ন না করায় উপজেলার কুমিরাস্থ ঘোড়ামারা স’ মিলকে ১০ হাজার, সোনাইছড়ির বাগদাদ স’ মিলকে ১০ হাজার ও ভাটিয়ারীর দি ইউনিক স’ মিলকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জানা গেছে, সীতাকুণ্ড উপজেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে রয়েছে সরকারের সংরক্ষিত, রক্ষিত ও অর্পিত বিশাল বনাঞ্চল। সরকারের আইন অনুযায়ী সংরক্ষিত, রক্ষিত ও অর্পিত বা অন্য যেকোনো ধরনের সরকারি বনভূমির সীমানা থেকে নিম্নতম প্রায় ১০ কিলোমিটারের মধ্যে করাতকল ব্যবস্থাপনা করা যাবে না। এর বাইরে অথবা ভেতরে করাতকল ব্যবস্থাপনার আগে সরকারি অনুমোদন নিতে হবে। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স, পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি পেতে হয়।
সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টার আগে বা পরে কোনো করাতকল পরিচালনা করা যাবে না। এসব বিধান লঙ্ঘন করলে যথাযর্থ আইনগত ব্যবস্থা নেবেন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী করাতকল ব্যবস্থাপনের জন্য লাইসেন্স বাধ্যতামূলক হলে ও কেউ মানছেন না সেই নিয়মনীতি।
সীতাকুণ্ড পৌরসভার বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া বলেন, পৌরসভার ভিতরে মাত্র ১৬ টির লাইসেন্স রয়েছে। তবে করাতকল মালিকদের অনেকের অভিযোগ আবেদন করেও বছরের পর বছর ধরে লাইসেন্স পাচ্ছেন না তারা। লাইসেন্সবিহীন করাতকলের মালিক আশরাফুল সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমি লাইসেন্সের জন্য কাগজপত্র জমা দিয়েছি ২ বছর আগে কিন্তু এখনো পর্যন্ত লাইসেন্স পাইনি।
এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহাদাত হোসেন জানান, লাইসেন্স না থাকা ও নবায়ন না করায় ৩ টি করাত কলকে মোট ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং লাইসেন্স প্রাপ্তির আগ পর্যন্ত তাদের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে এই ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এন ই / সি আই ডি