প্রতিনিধি, সীতাকুণ্ড । ।
গ্রাহকের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে সীতাকুণ্ডে পোষ্ট অফিসের ডিজিটাল সেন্টারের বিরুদ্ধে । দীর্ঘদিন ধরে পোষ্ট অফিসের কর্মকর্তা সেজে কৌশলে অর্থ আদায় করার অভিযোগ উঠেছে ডিজিটাল সেন্টারের আউট সোর্সিংয়ে নিয়োজিত কর্মচারীর বিরুদ্ধে। এছাড়া সুবিধা প্রদান করার নামে গ্রাহকের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়েও রয়েছে একাধিক তথ্য।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা পোষ্ট অফিসের ডিজিটাল সেন্টারের আওতায় দীর্ঘ বছর ধরে কাজ করছে নন্দি নামের এক লোক। আউট সোর্সিংয়ের আওতায় গ্রাহক সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। টিন সার্টিফিকেট তৈরী, ফটো কপি, গুরুত্বপুর্ণ নথিপত্র জেনারেল পোষ্ট অফিসে প্রেরনসহ সেবা প্রদানের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা নিয়োজিত কর্মী। কিন্তু রীতিমত পোষ্ট অফিসের কর্মকর্তা সেজে ভাব-ভঙ্গি নিয়ে প্রতিনিয়ত নিয়মবর্হিবুত অর্থ আদায় করছে আউট সোর্সিংয়ের কর্মী। চাহিদা অনুযায়ী অর্থ প্রদান না হলে নানা ছলছাতুরীর আশ্রয় নিয়ে হয়রানিতে ফেলা হয় বলে অভিযোগ করেন ভোক্তভোগী গ্রহকরা।
ভুক্তভোগীরা বলেন, আমানতের নথিপত্র জিপিওতে প্রেরন, হিসাব খোলার ফরমপূরণ ও জমা বইয়ের আবেদনসহ নানা কারনে পোষ্ট অফিসের অর্ন্তভুক্ত ডিজিটাল সেন্টারের দারস্ত হতে হয়। সেবা চাইতে গেলে মোটা অংকের অর্থ গুনতে হবে। ফিক্সড ডিপোজিট, ডিপিএসসহ এককালীন জমাকৃত অর্থের মেয়াদপুর্তির সুযোগ নিয়ে চলে মোটা অংকের বানিজ্য। দাবী অনুযায়ী চাহিদাপূর্ন না হওয়া পর্যন্ত সময় ক্ষেপনের আশ্রয় নিয়ে হয়রানিতে ফেলা হয় বলে জানান তারা। এছাড়া সেবা দেয়ার নামে অবৈধ সম্পর্ক গড়ার অভিযোগও রয়েছে ডিজিটাল সেন্টারে নিযোজিত কর্মীর বিরুদ্ধে।
সকল সেবা এক সাথে প্রদানের জন্য সরকারী অফিসগুলোতে দেয়া হয়েছে ডিজিটাল সেন্টার। এসব সেন্টারে সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বাজার মূল্যে অর্থ আদায়ের নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু তা অমান্য করে পোষ্ট অফিসে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হলেও নেই নজরধারী।
এ বিষয়ে উপজেলা পোষ্ট অফিসের পোষ্ট মাষ্টার মো. শাহরিয়ার বলেন, অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়ে অবগত আছি। কিন্তু সে অফিসের কোনো কর্মী না হওয়ায় কিছু করার ক্ষমতা নেই বলে জানান তিনি ।
মেজবাহ খালেদ/ এন ই / সি আই ডি ;