পবির বড়ুয়া ঃ
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী পৌরসভা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের পদপ্রার্থী জহুরুল ইসলাম। এ ছাড়া নয়টি ওয়ার্ডে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমাবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পৌরসভার ২৪টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকে ভোটকেন্দ্রে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেন ভোটাররা।
প্রাপ্ত ফলাফলে সাধারণ কাউন্সিলর পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ১ নম্বর ওয়ার্ডে তারেকুল ইসলাম (ব্রিজ), ২ নম্বর ওয়ার্ডে সিরাজুল হক (উটপাখি), ৩ নম্বর ওয়ার্ডে শেখ আরিফ উদ্দীন জুয়েল (ড্রয়ার), ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সুনীল চন্দ্র ঘোষ (টেবিল ল্যাম্প), ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ইসমাইল হোসেন আবু (উট পাখি), ৬ নম্বর ওয়ার্ডে মো. নাছের (ডালিম), ৭ নম্বর ওয়ার্ডে মাহমুদুল হক (ব্ল্যাকবোর্ড), ৮ নম্বর ওয়ার্ডে মো. পারভেজ (ডালিম), ৯ নম্বর ওয়ার্ডে জাহাঙ্গীর আলম (ব্রিজ) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছে।
সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১ থেকে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে রেবেকা সুলতানা মনি (আনারস), ৪ থেকে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে জোবাইদা বেগম (আনারস) ও ৭ থেকে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে শাহনাজ পারভিন নিলু (চশমা) নির্বাচিত হয়েছেন।
পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে ৫১ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে আটজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চললেও বেলা ১১টার দিকে এক নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম কধুরখীল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের একটি বুথে প্রবেশের অভিযোগে মো. জাবেদ নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক। পরে ওই ব্যক্তির মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় নম্বর ওয়ার্ডের হামিদুল হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ডালিম প্রতীকের প্রার্থীর কর্মীরা ভোটারদের পছন্দ অনুযায়ী ভোট দিতে দেয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। ভোটারদের অভিযোগ আঙুলে ছাপ দিলেও গোপন কক্ষে পছন্দের প্রতীকে ভোট দিতে দেয়নি ডালিম প্রতীকের কর্মীরা।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুন নাহার বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোনো বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি। গোপন কক্ষে প্রবেশের চেষ্টা করার একজনকে আটক করা হয়েছিল। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’