সাদ্দাম হোসেনঃ চট্টগ্রামে পবিত্র ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে লাখো মানুষের অংশগ্রহণে ঐতিহ্যবাহী জশনে জুলুস। এর আয়োজন করে আঞ্জুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট। লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লি হামদ-নাত আর দরুদ মুখর পরিবেশে জুলুসে অংশ নেন।
এ উপলক্ষে নগরীতে নেয়া হয় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মোতায়েন ছিলো অতিরিক্ত পুলিশ।
প্রতি বছরের মতো এবারও জুলুসের আয়োজন করে আঞ্জুমানে আহমদীয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট। আজ বুধবার সকাল থেকেই জনস্রোত খানকা শরিফের দিকে যেতে থাকে। পরে সকাল পৌনে ৯টায় নগরের মুরাদপুর আলমগীর খানকাহ্-এ-কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া থেকে বের হয় পবিত্র ঈদ-এ-মিলাদুন্নবীর জশনে জুলুস। জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা সংলগ্ন সড়ক হয়ে বিবিরহাট, মুরাদপুর, দুই নম্বর গেট ঘুরে পুনরায় মুরাদপুর বিবিরহাট প্রদক্ষিণ করে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা সংলগ্ন জুলুস ময়দানে ফিরে আসে জুলুসটি। এরপর মাহফিল শুরু হয়। সবশেষে করোনামুক্তি ও বিশ্বশান্তির জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এবারের জুলুসে প্রথমবার নেতৃত্ব দেন হজরতুল আল্লামা পীর সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ। আগে এ জুলুসের নেতৃত্ব দিতেন হুজুর তৈয়ব শাহ এবং পরবর্তী তার পুত্র আল্লামা তাহের শাহ।
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহি ওলাহিয়া সাল্লামের জন্মদিনে বিশ্বশান্তি কামনা করেন সাবির শাহ। তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে হানাহানি হিংসা বেড়ে গেছে, এগুলো থেকে মুক্তির পথ প্রিয় নবীর বাণী ও জীবন দর্শন ধারণ করে পথ চলা।মিলাদুন্নবীতে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার শিক্ষার স্বপ্ন দেখেন জুলুশে যোগ দেয়া মহানবীর অনুসারীরা।
পুলিশের উপ কমিশনার মোখলেসুর রহমান বলছেন, পুরো জসনে জুলুসে যাতে বিঘ্ন না হয়, সেজন্য গোটা বন্দরনগরী জুড়ে বাড়ানো হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
উল্লেখ্য, ১৯৭৪ সালে নগরের বলুয়ার দীঘি খানকাহ থেকে আল্লামা তৈয়্যব শাহ এ জুলুসের সূচনা করেন। সেই থেকে আঞ্জুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় প্রতিবছর ১২ রবিউল আউয়াল এ জুলুস পালন করা হয়।
করোনার কারণে গত বছর সীমিত পরিসরে আয়োজন করার কথা থাকলে তখনও নবীপ্রেমী মানুষের ঢল নামে।