সীতাকুণ্ডে মিত্রবাহিনীর শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন
সীতাকুণ্ডে মিত্রবাহিনীর শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন

নিউজ ডেস্ক । ।

সীতাকুণ্ডে মিত্রবাহিনীর শহীদদের স্মরণে নির্মিত ভাস্কর্যে মোমবাতি প্রজ্বলন করেছে উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় চন্দ্রনাথধাম পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মিত্র’ ভাস্কর্যে প্রদীপ প্রজ্বালন কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মানিক লাল বড়ুয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল গনি, সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ, পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক লিটন কুমার চৌধুরী, মেঘমল্লার খেলাঘর আসর সদস্যরাসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা।

বীর মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশ যখন বিজয়ের উৎসবে মাতোয়ারা, ঠিক সেদিন সন্ধ্যায় সীতাকুণ্ডের কুমিরা টিবি হাসপাতালের সামনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর তুমুল যুদ্ধ হয়। পাকিস্তানি বাহিনীর তৈরি বাংকারে মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যরা হামলা চালান। একপর্যায়ে দিগ্বিদিক পালিয়ে যায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। এ সময় হানাদার বাহিনীর কিছু সৈন্য বাংকারের চারপাশে মরার মতো পড়েছিল। ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যরা তাঁদের মৃত ভেবে সামনের দিকে এগিয়ে যান। এ সময় মরার ভান করে পড়ে থাকা পাকিস্তানি সৈন্যরা আকস্মিক এলোপাতাড়ি ফায়ার শুরু করে। এতে ঘটনাস্থলেই ভারতীয় অর্ধশতাধিক সৈন্য নিহত হন। পরে তাঁদের সীতাকুণ্ড পৌরসদরের গজারিয়া দিঘিরপাড়ে সৎকার করা হয়।

ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সেদিনের অবদানকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে ২০২০ সালে চন্দ্রনাথধাম পাহাড়ের পাদদেশে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মিত্র’ নামের ভাস্কর্যটি নির্মাণ করে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ ।  

মেজবাহ খালেদ / এন ই / সি আই ডি ;