ইসলামে দাওয়াতি কাজের গুরুত্ব ও জরুরি আদব।
-

অনলাইন ডেস্কঃইসলামে দাওয়াতি কাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং একইসঙ্গে প্রশংসনীয়। কারণ এতে বহু বিধর্মী ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আসার সুযোগ পায়।

কুরআনের ভালোবাসায় ও ইসলামকে সত্য জেনে অনেকে খুঁজে পান চিরস্থায়ী মুক্তির পথ।  এই ফিরে আসার পথে তারা অনুপ্রাণিত ও উপকৃত হয় ইসলামি দাওয়াতি কাজের মাধ্যমে।

কারণ যে ‘দাওয়াত’ তাদের জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্তদের একজন করে থাকে। । মহান আল্লাহতায়ালা পবিত্র কুরআনে এ বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে বলেন, আর সেই ব্যাক্তির কথা অপেক্ষা অধিক ভালো কথা আর কার হতে পারে?যে আল্লাহর দিকে ডাকে, নেক আমল করে এবং বলে আমি মুসলিম। (হা-মীম সিজদা-৩৩)

তিনি আরও বলেন, হে নবী! আপনার রবের পথের দিকে দাওয়াত দিন হিকমত ও নসীহতের সাহায্যে। (সুরা নাহল: ১২৫)

হাদিসে এসেছে- আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করিম (সা.) এরশাদ করেছেন, একটি আয়াত হলেও তা আমার পক্ষ হতে প্রচার কর। (বুখারী)

বর্তমান বিশ্বে দাওয়াতি কাজ বেশ জনপ্রিয় এবং চ্যালেঞ্জেরও। কাজেই এই বিষয়ে কাজ করতে হলে কিছু বিষয়ে জানা আবশ্যক। যার মধ্যে দিয়ে দাওয়াতি কাজে সফলতা লাভ করতে পারবে বলে আশাবাদী।

ক. অনেকই ধারণা দাওয়াতি কাজ করতে গেলে ইসলামি স্কলার হতে হবে এমন। আদতে স্কলার হতে তেমন নয়,তবে স্কলারের মতো কথা না বলে নিজের জানা বিষয়ে শুরু করা যেকোনো আলোচনা শুরু করা ভালো। যেমন:বেসিক ইসলাম,তাওহীদ,ইসলামের পাঁচটি স্তম্ব এবং শিরক ইত্যাদি।

খ. বিধর্মী ভাইদের সঙ্গে কথা বলার সময় ভালোবাসা ও সহমর্মিতা পূর্ণ আচরণ করতে হবে। আদবের বিষয়টা সদা খেয়াল রাখা প্রয়োজন। কারণ তিনি ইসলামকে বুঝবে আপনার আচার-আচরণ দ্বারা।

গ. আলোচনার শুরুতে রাজনীতিক বিষয়ে কথা না বলা উত্তম। কারণ এতে বিতর্ক শুরু হতে পারে। কুরআনে বর্ণিত হয়েছে, আর লোকদের সঙ্গে পরস্পর বিতর্ক কর উত্তম পন্থায়।  (সুরা নাহল-১২৫)

ব্যাক্তি সম্পর্ক উন্নতি হলে নানা বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করা যেতে পারে। আলোচনা যাতে দীর্ঘ স্থায়ী হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে জেনারেল বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে।

ঘ. সবসময় বুঝতে হবে সে ইসলামের কোন বিষয়টা জানতে আগ্রহী এবং তার যথার্থ উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করা। তার আগ্রহের বিষয়ের উপর ফোকাস করতে হবে এবং অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে লেকচার না দেওয়া ভালো।

ঙ. অন্যকারো ধর্মের উপর যাতে কোন আক্রমণ না হয় সে বিষয়টা গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। কখনো বলা যাবে না যে, যেমন: বাইবেলে ভুল আছে, চার্চের শিক্ষা ব্যবস্থা খারাপ,ইত্যাদি। একইসঙ্গে ধর্মীয় বিষয়ে রশিকতা যেন না হয় সে বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে।

সর্বোপরি দাওয়াতি কাজের জন্য হিকমত ও বিচক্ষণতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এই দুই গুণের যথার্থ প্রয়োগের মাধ্যমে এই কাজে সফলতা লাভের আশা করা যায়।