অনলাইন ডেস্কঃ
কারিগরি আর নীতিনির্ধারণী প্রতিবন্ধকতা থাকলেও চাঁদ ও মঙ্গলযাত্রার লক্ষ্যে নির্মিত স্টারশিপের রকেট চলতি বছরই পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছাবে বলে আশাবাদী স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। স্টারশিপ রকেটগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী এই প্রযুক্তি উদ্যোক্তা।
সম্প্র্রতি টেক্সাসের বোকা চিকায় অবস্থিত ‘স্টারবেইজ’-এ স্টারশিপ প্রকল্প নিয়ে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন মাস্ক। প্রোটোটাইপ স্টারশিপ রকেটের উৎক্ষেপণ ও অবতরণে সাফল্যের নয় মাসের মাথায় এ বিষয়ে গণমাধ্যমে মুখ খুললেন মাস্ক। তার আগের চারবারের চেষ্টায় অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়েছিল প্রোটোটাইপ রকেটগুলো।
সংবাদকর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ‘সুপার হেভি রকেট’-এর জন্য ‘র্যাপটর ২’ ইঞ্জিন নির্মাণ জটিলতার কথা স্বীকার করেছেন মাস্ক। এ রকেটগুলোর নকশা করা হয়েছে বারবার ব্যবহারের কথা মাথায় রেখে। স্টারশিপ স্পেসক্র্যাফটকে কক্ষপথে পৌঁছে দেওয়ার কথা রয়েছে এই রকেটগুলোর। ইঞ্জিন থেকে সৃষ্ট তাপে রকেট থ্রাস্টারের ভেতরের অংশ গলে যাচ্ছিল বলে জানিয়েছেন মাস্ক। তবে, ‘আমরা সেটি সমাধানের কাছে চলে এসেছি’ বলে দাবিও করেছেন তিনি। মার্চ মাসের মধ্যেই উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়ে প্রতি সপ্তাহে সাত থেকে আটটি ইঞ্জিন নির্মাণের আশা করছেন মাস্ক। আর বছরের শেষ নাগাদ প্রতি মাসে একটি করে স্টারশিপ এবং একটি করে বুস্টার নির্মাণের আশা করছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে মাস্ক বলেন, ‘এ মুহূর্তে আমি খুবই আত্মবিশ্বাসী, আমরা এ বছরেই (স্টারশিপের মাধ্যমে) কক্ষপথে পৌঁছাব।
’অবশ্য মাস্কের এই আত্মবিশ্বাসকে ‘উচ্চাকাঙ্ক্ষী’ বলে আখ্যা দিয়েছে অনেকেই। তবে, উচ্চাকাঙ্ক্ষী হলেও অসম্ভব নয় এই লক্ষ্য। সুপার হেভি/স্টারশিপ জুটি এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে থাকলেও ফ্যালকন ৯ রকেট দিয়ে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন মাস্ক। রকেটগুলোর সফল উৎক্ষেপণ হয়েছে ১৪৪ বার, আর সফল অবতরণের সংখ্যা ১০৬ বার। তবে সরকারি পর্যাবেক্ষণ সংস্থা ‘ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ)’-এর সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় আছে স্পেসএক্স। আশপাশের পরিবেশের উপর বোকা চিকায় অবস্থিত নির্মাণ কারখানা এবং লঞ্চপ্যাডের প্রভাব মূল্যায়ন করে দেখছে সরকারি সংস্থাটি।
জানা গেছে, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, স্পেসএক্স ২০২৩ সালে চাঁদে প্রথম ব্যক্তিমালিকানাধীন মিশন পাঠানোর লক্ষ্যে অবিচল আছে।