মতিঝিল আইডিয়াল থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১,৫৬৬ জন
চিরিরবন্দরে আউশ মৌসুমে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ড্রাম সিডার

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে আজ রোববার বেলা একটার দিকে টাঙিয়ে দেওয়া হয় এবারের এএসসি পরীক্ষার ফল। তবে ফল প্রকাশ উপলক্ষে আজ শুরু থেকেই ক্যাম্পাসে পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম লক্ষ করা যায়।

পরীক্ষার্থীরা বলছে, মুঠোফোনে এসএমএস করে ফলাফল পাওয়া যায়। তাই ইদানীং পরীক্ষার্থীরা ফল প্রকাশের দিন ক্যাম্পাসে কম আসে। আর এবার পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি পাসের আনন্দ অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে।

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ হাজার ৮০৯ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৫৬৬ জন।

অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগম জানান, ১ হাজার ৮০৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে দুজন একটি করে পরীক্ষা দেয়নি। ১ হাজার ৫৬৯ জন বিজ্ঞান বিভাগ ও ২৪০ জন বাণিজ্য বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয়। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৫৬৬ জন। গত বছর ১ হাজার ৫১১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ হাজার ৩৭১ জন।

ফলাফলে প্রশ্ন ফাঁসের কোনো প্রভাব পড়েছে কি না জানতে চাইলে শাহান আরা বেগম বলেন, ‘প্রশ্ন ফাঁসের প্রভাব পড়েনি, তা বলা যাবে না। এতে প্রকৃত মেধাবীরা আশাহত হয়েছে। তারা দুশ্চিন্তার মধ্যে ছিল।’

কথা হয় বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থী সাইফুল আলমের সঙ্গে। ফলাফল জিপিএ-৫ হলেও খুব বেশি উচ্ছ্বসিত ছিল না সে। সাইফুল বলল, ‘প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার ঘটনায় আমি ব্যথিত হয়েছি। হতাশায় দিন কেটেছে। এভাবে প্রশ্ন ফাঁস হওয়া বন্ধ হওয়া উচিত।’

মিথিলা মোস্তফা বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে। সে বলল, ‘আমি খুশি। কিন্তু মেধাবী নয়—এমন অনেকে প্রশ্ন পেয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে। এটা মেনে নিতে পারছি না।’

এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় একের পর এক প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ যাচাই-বাছাইয়ে গঠিত আন্তমন্ত্রণালয় কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসএসসি পরীক্ষায় ১৭টি বিষয়ের মধ্যে ১২ টিতেই নৈর্ব্যক্তিক (এমসিকিউ) অংশের ‘খ’ সেট প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে।